জম্মু ও কাশ্মীরে ফের পাকিস্তানের তৈরি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেল সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। ১৫০ মিটার লম্বা ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে ভারতে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটাত পাকিস্তান। গত ১০ দিনে এমন দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের হদিশ মিলল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে।
শনিবার এক বিএসএফ কর্তা জানিয়েছেন, ভারতে জঙ্গি ঢোকাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাটির নীচে একাধিক সুড়ঙ্গের জাল তৈরি করেছে পাকিস্তান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে বিএফএস।
৩৯ মিটার গভীর সুড়ঙ্গটির অবস্থান কাঠুয়া জেলায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিএসএফ-এর পানসর ঘাঁটির কাছে ১৪ ও ১৫ নম্বর বর্ডার পোস্ট দু’টির মাঝামাঝি। সীমান্তের অন্য পারে রয়েছে পাকিস্তানের শাকরগড় জেলার আভিয়াল ডোগরা এবং কিংরে-দি-কোঠে সীমান্তঘাঁটি।
ভারতীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, শাকরগড়ে রয়েছে সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবির, যার দায়িত্বে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের কম্যান্ডার কাশিম জান। এই কাশিম জান গত ১৯ নভেম্বর জম্মুর নাগ্রোটায় সন্ত্রাসবাদী সংঘর্ষে জড়িত এবং ২০১৬ সালে পাঠানকোটে সেনার বিমানঘাঁটি আক্রমণকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত। ভারতে জইশ জঙ্গিদের অন্যতম প্রধান নির্দেশকও কাশিম জান।
উল্লিখিত বিএসএফ কর্তা জানিয়েছেন, ‘এই সুড়ঙ্গটি দীর্ঘ দিন ধরে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। তা ছাড়া, সুড়ঙ্গের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেই ২০১২ সাল থেকেই জঙ্গি পাচারের কাজে তা ব্যবহার করেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। এমনকি, ২০১২ সালে ভারতের সীমান্ত রক্ষী ঘাঁটিতে আঘাত হেনে জিরো লাইনের উপরে নতুন বাঙ্কার গড়েছিল পাকিস্তান।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই সুড়ঙ্গের কাছেই সীমান্তে নজরদারি চালানোর সময় সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ হারান বিএসএফ-এর সহকারী কম্যান্ডান্ট বিনয় প্রসাদ। ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে এখানেই দেখা যায় সন্ত্রাসবাদীদের একটি দলকে।
বিএসএফ-এর দাবি, পাকিস্তানের তৈরি প্রতিটি সুড়ঙ্গখুঁজে পাওয়া জরুরি। তাদের মতে, নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করা যখন অসম্ভবহ য়ে পড়ে, তখনই এমন সুড়ঙ্গ কাজে লাগিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়।
নাগ্রোটা সংঘর্ষের পরে সীমান্তে ভূগর্ভ সুড়ঙ্গপথ খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন বিএসএফ ডিজি রাকেশ আস্থানা।