ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে ফের দীর্ঘ সুড়ঙ্গের হদিশ পেল বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স (BSF)। বুধবার জম্মুর কাঠুয়া জেলার হিরানগর সেক্টরে বব্বিয়াঁ গ্রামে ১৯৮ কিমি দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছে।
বিএসএফ-এর জম্মু সীমান্ত ইনস্পেক্টর জেনারেল এন এস জামওয়াল জানিয়েছেন, ‘সুড়ঙ্গটি ১৫০ থেকে ১৬০ মিটার লম্বা এবং দুই থেকে তিন ফিট ব্যাসের। মাটির ২৫ থেকে ৩০ ফিট গভীরে সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছিল।’
তিনি জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে পাকিস্তানি সংস্থার ছাপ মারা ১০-১৫টি বালির বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। তার সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে পাকিস্তানে তৈরি ব্যাটারি ও জলের বোতল।
জামওয়ালের কথায়, ‘অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতায় খোঁড়া সুড়ঙ্গটি পাকিস্তানি সাহায্যে তৈরি হয়েছে। তবে বালির বস্তাগুলি দেখে মনে হচ্ছে, সুড়ঙ্গটি একটু পুরনো।’
আইজি জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গটি শক্করগড় অঞ্চলে পাকিস্তান রেঞ্জার্স বাহিনীর চক সম্মান পোস্ট থেকে শুরু হয়ে জম্মুর হিরানগরের বব্বিয়াঁ গ্রামের কাছে এসে শেষ হয়েছে।
তাঁর দাবি, সুড়ঙ্গটি সন্ত্রাসবাদীরা আদৌ ব্যবহার করেছে কি না, তার কোনও লক্ষণ দেখাযায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গত ২২ নভেম্বর মাসে জম্মুর সাম্বা সেক্টরে রিগ্যাল পোস্টের কাছে খুঁজে পাওয়া সুড়ঙ্গের সঙ্গে যথেষ্ট মিল রয়েছে এই সুড়ঙ্গটির।
জামওয়ালের কথায়, ‘গোয়েন্দা সূত্রে নিয়মিত খবর পাওয়া যাচ্ছিল যে, কাঠুয়া ও সাম্বা অঞ্চলে বেশ কয়েকটি গোপন সুড়ঙ্গ থাকতে পারে, যেগুলি পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করে। সেই খবরের ভিত্তিতে সুড়ঙ্গ তল্লাশি অভিযানে এ দিনের সুড়ঙ্গটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।’
আইজি-র দাবি, ‘সুড়ঙ্গটি নিঃসন্দেহে পাকিস্তানি সহায়তায় তৈরি হয়েছে। শক্করগড় সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে কুখ্যাত। সেখান থেকে নিয়মিত সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি।’
তিনি বলেন, সুড়ঙ্গের ছবি ও অন্যান্য প্রমাণ-সহ পাকিস্তান রেঞ্জার্সের কাছে অভিযোগ জানাবে বিএসএফ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ নভেম্বর সাম্বা সেক্টরে খুঁজে পাওয়া সুড়ঙ্গপথেই ভারতে ঢুকে পড়ে চার জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। ভারতে ঢুকে কাশ্মীরগামী একটি ট্রাকে চেপে যাওয়ার সময় ১৯ নভেম্বর জম্মুর নাগ্রোটার কাছে বান টোল প্লাজায় তাদের খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী।