আফগানিস্তান ছাড়ার পর এই প্রথম দোহায় তালিবান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। স্থলপথে আরও চার আমেরিকানকে উদ্ধারের কথা জানালেন।
অগস্টেই কাবুল বিমানবন্দর ফাঁকা করে আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকা। কিন্তু আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিনকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সোমবার স্থলপথে চার আমেরিকানকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে। আফগানিস্তান থেকে তাঁদের কাতারে নিয়ে আসা হয়েছে। তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করেই এই কাজ করা হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে। এদিকে সোমবারই কাতারে পৌঁছে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব। দোহায় কাতারের নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন তিনি।
দোহার আলোচনা
তালিবান এখনও নতুন সরকার সম্পূর্ণভাবে গড়ে তুলতে পারেনি। তবে সরকার গঠন সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক তৈরি করা হবে, প্রতিবেশী দেশগুলি কী ভাবছে, এ নিয়ে কাতারের আমিরের সঙ্গে তার দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। আফগানিস্তানে কীভাবে সাহায্য পাঠানো যেতে পারে, তালিবানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কী হতে পারে, এই বিষয়গুলিও আলোচনায় এসেছে বলে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে।
বস্তুত এখনও আফগানিস্তানে শতাধিক আমেরিকান আটকে আছেন। বিমানে তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি। আটকে আছেন মার্কিন বাহিনী এবং মার্কিন সংস্থায় কাজ করা বহু আফগান। যাঁরা দেশ ছাড়তে চান। কীভাবে তাঁদের সকলকে উদ্ধার করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। কথা হয়েছে নতুন করে কাবুল বিমানবন্দরকে সচল করার বিষয়ে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, এই বিষয়গুলি নিয়ে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
তালিবান আফগানিস্তান দখলের পরে দূতাবাস থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর আমেরিকা কাতারে নিয়ে এসেছে। কর্মীরাও সেখানে আছেন। এর জন্য কাতারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্লিনকেন।
উদ্ধারকাজ অব্যাহত
আমেরিকা কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার পরে সরকারিভাবে সোমবারই প্রথম চার মার্কিনকে উদ্ধার করার কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের সকলকেই স্থলপথে কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটকে থাকা বাকি নাগরিকদেরও একইভাবে উদ্ধার করা হতে পারে বলে মার্কিন প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে। এই উদ্ধারকাজ তালিবানকে জানিয়েই করা হচ্ছে বলে মার্কিন প্রশাসনের দাবি। তালিবান মুখপাত্র অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।