আর্সেনাল ফুটবলারদের বহনকারী বিমানে ভয়াবহ আগুন (ছবি টুইটার)
১৯৫৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। মিউনিখ থেকে টেকঅফের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ব্রিটিশ ইউরোপিয়ানের উড়ান। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের গোটা দল ছিল সেই বিমানে। দুর্ঘটনায় ৮ ফুটবলার এবং দলের কোচ বার্ট হোয়েলির মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে ব্রাজিল চাপেকোয়েনসের বিমানও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। ঘটনায় পাঁচ জন প্রাণে বেঁচেছিলেন। দলের ফুটবলার, বিমানকর্মী সমেত বাকি ৭৬ জনই মারা গিয়েছিলেন। সেই সব বিভীষিকাময় স্মৃতিই যেন ফিরে আসছিল রবিবার সন্ধ্যায়। আর্সেনালের মহিলা ফুটবল দল জোর বাঁচান বেঁচেছে। জার্মানির উলফসবার্গের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলে লন্ডনে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। টেকঅফের সময়ই ভয়াবহ আগুন ধরে তাতে। তবে সৌভাগ্যবশত কোনও ফুটবলার বা বিমানকর্মীর প্রাণ যায়নি দুর্ঘটনায়। (আরও পড়ুন: এবারে IPL দেখতে দেখতে স্টেডিয়ামে বসে খাওয়া যাবে বিয়ার, নয়া পদক্ষেপ সরকারের)
জানা গিয়েছে, রবিবার জার্মানির ব্রাউনশ্চ্যুইগ উলফসবার্গ বিমানবন্দর থেকে আর্সেনাল মহিলা দলকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য টেকঅফ করছিল বোয়িং ৭৩৭ বিমান। তবে সেই সময় পাখির ঝাঁক এসে বিমানে ধাক্কা খায়। তাতেই ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে ইঞ্জিনে। সঙ্গে সঙ্গে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তবে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই দমকলকর্মীরা কাজে লেগে পড়েন। বিমানবন্দরের আপতকালীন কর্মীদের তৎপরতায় সকল বিমানযাত্রীকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়।
এদিকে এই দুর্ঘটনার পর জার্মানিতে একদিন অতিরিক্ত দিন কাটাতে বাধ্য হয় আর্সেনাল মহিলা ফুটবল দল। পরে আর্সেনালের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সব ফুটবলার নিরাপদে আছেন। নির্ধারিত সময়ের একদিন পর তাঁরা নিরাপদে লন্ডনে ফিরে এসেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, 'রবিবার সন্ধ্যায় জার্মানিতে টেকঅফের আগে আমাদের বিমানে যান্ত্রিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য রবিবার আমাদের দল জার্মানিতেই থেকে যায়। সোমবার বিকেলে তাঁরা ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। রবিবার রাতে আমাদের দল উলফসবার্গেই ছিল। আমরা তাঁদের সহায়তা করার জন্য বিমানবন্দরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
এর আগে রবিবার মাঝ আকাশে আগুন লেগে গিয়েছিল এক মার্কিন বিমানে। সেই ক্ষেত্রে হাঁসের ঝাঁক এসে বিমানে ধাক্কা মারায় ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৭টা ৪৫মিনিটে বিমানটি ওহায়োর জন গ্লেন কলম্বিয়াস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে ফিনিক্সের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। টেকঅফের কিছু পড়েই বিমানটি যখন আপার অ্যারিংটনের আকাশে, তখন ইঞ্জিন থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়। দ্য আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানটি এরপর ওহায়োর দিকে ফিরে যায়। জরুরি অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয় জন গ্লেন কলম্বিয়াস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিকের কাছে। বিমানটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই আপতকালীন কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। উল্লেখ্য, সেই বিমানটিউ ছিল বোয়িং ৭৩৭।