আর্য সমাজের নেতা তথা প্রখ্যাত সমাজসেবী স্বামী অগ্নিবেশ মারা গেলেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বুদ্ধিজীবী মহলে। লিভার সিরোসিসের জন্য তাঁর চিকিৎসা চলছিল। হাসপাতালেই মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়। তারপরে অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল তাঁর পরিস্থিতিতে। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় এই লড়াইয়ে হার হল তাঁর।
দিল্লির Institute of Liver and Billary Sciences (ILBS)-এ ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন থেকেই তিনি ভেন্টিলেটরে ছিলেন। হরিয়ানার প্রাক্তন বিধায়ক অগ্নিবেশ আর্য সমাজের নীতির ওপর ভিত্তি করে আর্য সভা বলে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে আলোচনা ও সদ্ভাবে বিশ্বাস করতেন। আজীবন বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। নকশালদের মূলস্রোতে নিয়ে আসারও তিনি চেষ্টা করেন। দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফোরামে সোচ্চার হয়েছেন তিনি।
আন্না আন্দোলনের অন্যতম সদস্য অগ্নিবেশ মহিলাদের ভ্রণহত্যা ও অন্যান্য সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আইনজীবী তথা সামাজিক কর্মী প্রশান্ত ভূষণ বলেন যে স্বামীজি ছিলেন মানবতা ও সহনশীলতার পক্ষে লড়াই করা এক সত্যিকার যোদ্ধা। মানুষের হিতে তিনি বড় ঝুঁকি নিতেন বলে জানান প্রশান্ত ভূষণ।
প্রশান্ত ভূষণ বলেন যে সংঘ পরিবারের আক্রমণে স্বামী অগ্নিবেশের লিভার নষ্ট হয়ে যায়। নিজের শোকবার্তায় কার্যত একই অভিযোগ করেছেন সমাজকর্মী তিস্তা সেতেলওয়াড়। প্রয়াণকালে স্বামী অগ্নিবেশের ৮০ বছর বয়স হয়েছিল।