স্রেফ প্রতিপক্ষের শ্রদ্ধা নাকি পিছনে অন্য কোনও কৌশল আছে? আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ‘দেশের বড় নেতা’-র তকমা দেওয়ার পর সেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
উত্তরপ্রদেশের জেলা পঞ্চায়েতের ভোটে বিজেপির বড় জয়ের পর শনিবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে যোগী বলেন, ‘আসাদউদ্দিন ওয়েইসি আমাদের দেশের বড় নেতা। উনি যদি (উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য) বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, তাহলে তা গ্রহণ করছেন বিজেপি কর্মীরা। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে (২০২২ সালে) উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়বে বিজেপি।’
আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে ১০০ টি আসনে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করছে ওয়েইসির দল। ইতিমধ্যে ওম প্রকাশ রাজভরের নেতৃত্বাধীন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির সঙ্গে জোটও করেছে এআইএমআইএম। সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টিও একাধিক ছোটোখাটো সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। সার্বিকভাবে সেই ভাগীদারি সংকল্প জোট ৪০৩ টি আসনেই লড়াই করতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে শুক্রবার এআইএমআইএম প্রধান বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমরা যোগী (আদিত্যনাথকে) আবারও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে দেন না। যদি আমাদের মনোবল দৃঢ় থাকে এবং আমরা কঠোর পরিশ্রম করি, তাহলে সবকিছু হতে পারে। ইনশাল্লাহ, আমাদের লক্ষ্য হল যাতে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার না গঠিত হয়।’
ওয়েইসির সেই চ্যালেঞ্জ যোগীর গ্রহণ করলেও একাংশের বক্তব্য, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে বিহারে ‘মহাগঠবন্ধন’-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল এআইএমআইএম। বিহারের সীমাঞ্চলের সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত অঞ্চলে ওয়েইসির দলের প্রার্থীরা ভালো ফল করেছিলেন। সবমিলিয়ে বিহারে পাঁচটি আসনে জিতেছে এআইএমআইএম। মোট শতাংশের বিচারে সেই সংখ্যাটা নগণ্য হলেও এআইএমআইএমের দাপটে পালটে গিয়েছিল বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ। কপাল পুড়েছিল তেজস্বী যাদবদের। পুরোপুরি ফায়দা পেয়েছিল এনডিএ। সেজন্য এআইএমআইএমকে বিজেপির ‘বি’ টিম হিসেবেও কটাক্ষ করা হয়। সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশে যত বেশি সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে পারবে ওয়েইসির দল, তত সুবিধা পাবে বিজেপি বলে মত রাজনৈতিক মহলের।