কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার অসমের সোনাই কেন্দ্রের বিধায়ক অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের করিমুদ্দিন বরভুঁইয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই দাবি করছেন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ভুয়ো। এদিকে সূত্রের খবর এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি তাঁর হলফনামায় দাবি করেছিলেন ২০১৯ সালে মিরাটের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেছেন। এদিকে ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি জানিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। এরপর ১৯৯০ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাশ করেছেন।
এদিকে আরটিআইয়ের প্রশ্নের উত্তরে অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল জানিয়েছে, করিমুদ্দিন ১৯৮৭ সালে হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পাশ করেননি। এনিয়ে করিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে মামলা হয়েছে। আগামী ৪ঠা আগস্ট তার শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত এবার তিনি সোনাই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। তবে ২০১৬ সালে তিনি বিজেপির প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে তিনি উচ্চমাধ্যমিক ও ১৯৯০ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাশ করেন। কিন্তু এবছর তাঁর উচ্চশিক্ষার বিবরণ বেমালুম বদলে গেল।
এবার তাঁর দাবি, মিরাট থেকে তিনি ২০১৯ সালে গ্র্য়াজুয়েট হয়েছেন। এদিকে অসম বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর এনিয়ে আরটিআই করেছিলেন। আমিনুল হকের দাবি, 'দূরশিক্ষার মাধ্যমে স্নাতক পাশ করার কথা জানিয়েছেন বিধায়ক। কিন্তু মিরাটের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই পদ্ধতিতে স্নাতক পাশের সুযোগ নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমাটিও ভুয়ো। যিনি দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেননি তিনি গ্র্যাজুয়েট হলেন কী করে?' তাঁকে অসম বিধানসভার মুন্না ভাই বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তবে বিধায়কের দাবি, গোটা বিষয়টি আদালতেই প্রমাণ করব।