সরকারের টাকায় কোনও ধর্মীয় শিক্ষা চলবে না। তাই রাজ্যের সব সরকার ও সরকার-পোষিত মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে চলেছে অসম সরকার। তা নিয়ে আগামী মাসেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'সরকারি অর্থ কোনও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া হবে না। তা নিয়ে আমরা নভেম্বরেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। বেসরকারি মাদ্রাসার ক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।'
হিমন্তের সেই মন্তব্যের পর এআইইউডিএফ সুপ্রিমো এবং লোকসভার সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিজেপি সরকার সেই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করলে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এসে সেগুলি আবারও খুলবে তাঁর দল। বদরুদ্দিন বলেন, 'আপনারা মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে পারেন না। যদি বর্তমান সরকার জোর করে বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা ক্ষমতায় এসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৫০-৬০ বছরের পুরনো মাদ্রাসাগুলি আবারও চালু করব।'
গত ফেব্রুয়ারিতে হিমন্ত ঘোষণা করেছিলেন, মাদ্রাসা, সংস্কৃত টোল-সহ যাবতীয় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সরকারের টাকায় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। বেসরকারি মাদ্রাসা, সংস্কৃত টোল-সহ যাবতীয় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারের কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এবার সেই অবস্থান থেকে ঘুরে গিয়েছে বিজেপি সরকার। হিমন্ত বলেন, ‘সংস্কৃত টোলের বিষয়টি আলাদা। সরকার চালিত সংস্কৃত টোলের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল সেগুলির স্বচ্ছতা। সেটি সমাধানের জন্য আমরা পদক্ষেপ করছি।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে অসমে ৬১৪ টি সরকারি মাদ্রাসা আছে। বেসরকারি মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় ৯০০। সেগুলির অধিকাংশ চালায় জামিয়াত উলামা। আর সরকারি সংস্কৃতের টোলের সংখ্যা ১০০। সেখানে ৫০০-র বেশি বেসরকারি টোল আছে।