উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমপ্রান্তে ফিরোজাবাদ। একের পর এক জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মৃত্য়ুর ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। শুক্রবার সেই মৃত্যুই ৫০ এর গন্ডি ছুঁয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি সাম্প্রতিককালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যে মৃত্যুর ঘটনা হচ্ছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু বলে মনে করা হচ্ছে। আগ্রার স্বাস্থ্য় দফতরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ডঃ একে সিং বলেন, আগে যারা মারা গিয়েছেন তার কারণ ঠিক পরিষ্কার নয়। তবে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় রোগীরা সাড়া দিচ্ছেন।
আগ্রা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে এই ফিরোজাবাদ। গোটা অগস্ট মাস ধরে একের পর এক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। মুখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিক দীনেশ কুমার প্রেমী আপাতত ৫০টি মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছেন। এদিকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লখনউ থেকে স্বাস্থ্য় দফতরের একটি টিম এলাকায় গিয়েছে। ফিরোজাবাদের বিজেপির বিধায়ক মনীশ আসিযা বলেন, ফিরোজাবাদের সিএমওকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের হাসপাতালে থাকার জন্য বলা হয়েছে। কোনও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে কি না সেব্যাপারে বস্তি এলাকাগুলিতে নজরদারি রয়েছে।
এদিকে গোটা ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের আধিকারিকদের উদাসীনতাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি আগে সরকার সতর্ক হলে এই পরিস্থিতি হত না। তবে গত ৩০শে অগস্ট মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এলাকা ঘুরে দেখেন। ডেঙ্গুর মতো কোনও জ্বরে মৃত্যু হচ্ছে তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ তিনি দিয়েছেন। এদিকে ফিরোজাবাদ থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে মথুরাতেও এভাবে মারা গিয়েছেন অন্তত ১২জন। কিন্তু এক্ষেত্রেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে।