চাইলে যেকোনও সাফল্য যে ছুঁয়ে ফেলা কঠিন নয়, তার প্রমাণ ফের একবার মিলল সদ্য ২০ মার্চ। ১৩ বছরের মেয়ে জিয়া রাই। মহারাষ্ট্রের এই বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরী পাক প্রণালীর ২৯ কিলোমিটার যাত্রাপথ জলপথের মাধ্যমে পার করে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। এই গোটা যাত্রাপথ সে ১৩ ঘণ্টা ১০ মিনিটে পার করে ফেলেছে।
মার্চের ২০ তারিখ শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার থেকে সে রওনা হয়। ভোর ৪.২২ মিনিটে শুরু হয় তার সাঁতারের অভিযান। এরপর ওই একই দিনে বিকেল ৫.৩২ মিনিটে ভারতের ধনুষকোড়িতে পৌঁছয় সে। গোটা পর্ব গাইড করেন প্যারা সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। ভারতে রাই পৌঁছতেই , সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান, তামিলনাড়ুর ডিজিপি শৈলেন্দ্র বাবু। তিনি বলেন, এমন এক জলপথে সাপ, জেলিফিশ, বিদ্যুৎ কাটিয়ে ১ কিলোমিটার এগোতেই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লেগে যায়, সেখানে জিয়া রাইয়ের কীর্তি কার্যত অনবদ্য। তিনি বলেন, 'এখানে এরকম বেশ কিছু বিপদ রয়েছে। এর জন্য অনেক ইচ্ছাশক্তি লাগে।' উল্লেখ্য, রাইয়ের এই অভিযানে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের নৌসেনা বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছে।
প্রসঙ্গত, ২ বছর বয়স থেকে অটিজিমের সমস্যায় ভুগছেন জিয়া রাই। রাই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ এবং অটিজমে আক্রান্ত প্রথম মেয়ে যে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ারলি সি লিঙ্ক থেকে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার দূরত্বে সাঁতার কাটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনার কথা নোট করেছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী তাঁর 'মন কি বাত' শোতে রাইয়ের প্রশংসা করেছিলেন। উল্লেখ্য, জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওয়াটার থেরাপি ভীষণভাবে কার্যকরী হয়। আর সেকারণেই তাকে সাঁতারে আরও বেশি করে এগিয়ে দেন জিয়ার বাবা মা। তবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নামার জন্য যে সাহস বা মানসিকতার দরকার ছিল , তা জিয়ার একদিনে তারি হয়নি। তবে জিয়ার মনসংযোগ ও আর তার বাবা মায়ের অদম্য লড়াই এই পর্যন্ত নিয়ে আসে জিয়াকে।