লখনউয়ে ধৃত পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) দুই সদস্যকে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করতে সাহায্য করেছে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত–উল–মুজাহিদিন। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং অ্যান্টি টেরোরিসম স্কোয়াড (এটিএস)। ধৃত দু’জনকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এসটিএস। আর তার প্রথম দিনে লাগাতার জেরার মুখে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে ধৃত পিএফআইয়ের দুই সদস্য।
মঙ্গলবার লখনউয়ের গুদাম্বা এলাকা থেকে পিএফআইয়ের দুই সদস্য কেরলের বাসিন্দা আসাদ বদরুদ্দিন ও ফিরোজ খানকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। পুলিশের দাবি, উত্তরপ্রদেশ–সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি হামলার ছক কষেছিল তারা। তাদের কাছ থেকে ব্যাটারি ডিটোনেটর–সহ ১৬টি উচ্চ বিস্ফোরক ডিভাইস, একটি পিস্তল এবং তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধৃত দুই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এটিএস। বিস্ফোরক এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দখলে রাখা এবং দেশে সন্ত্রাসের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। এটিএসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জেরায় ধৃত দুই যুবক স্বীকার করেছে যে কয়েক মাস আগে তারা বাংলাদেশে গিয়েছিল। বাংলাদেশে তারা জামাত–উল–মুজাহিদিনের কাছে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করার জন্য সাহায্য চায়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
উল্লেখ্য, গত ২৩ বছর ধরে বাংলাদেশে নিজেদের পরিধি বাড়িয়ে চলেছে জঙ্গি সংগঠন জামাত–উল–মুজাহিদিন। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ওপর হামলা চালানোর দায়ে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামাত–উল–মুজাহিদিনকে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। আর এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পিএফআইয়ের হিট স্কোয়াডের আরও পাঁচ সদস্যের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে এবং তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।