বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অনেকাংশেই আমদানির উপর নির্ভরশীল। করোনা অতিমারির ভয়াবহ প্রভাব ও চলতে থাকা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বানিজ্যে আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে এক চূড়ান্ত অব্যবস্থা। সেই কারণেই অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে দেখা দিতে পারে জ্বালানি সংকট। সেই কথা মাথায় রেখেই জ্বালানি ব্যবহারে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের এক নির্দেশিকা অনুযায়ী সোমবার বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ৮টার পর থেকে বন্ধ হতে চলেছে অধিকাংশ দোকান ও মার্কেট। খবর বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
গত রবিবার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,সার্বিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে সরকার শ্রম আইন কঠোরভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কোনও দোকান বা শপিংমল বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ৮টার পর খোলা রাখা যাবে না।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি মেনে নিয়েছে বলে খবর বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের ও বিশ্বের বাস্তবিক পরিস্থতি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তই সঠিক।
শ্রম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির ঈদের সময় একটু বেশি সময় দোকান খোলা রাখার অনুমতি চেয়েছে। সেই অনুরোধ বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব আকারে রাখা হবে।
অনেকেই আশা করছেন, এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পারবে।