ভ্যাপসা গরমে দেশের বিভিন্ন এলাকার জনজীবন এখন অস্থির৷ তবে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস৷ এতে খানিকটা স্বস্তি ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
দেশের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও গুমোট ভাব রয়েছে৷ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিং ও সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে৷ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
দেশের বেশিরভাগ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে৷ বিডিনিউজকে আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের বাকি এলাকায় থেকে বিদায়ের অবস্থায় রয়েছে৷ মৌসুমী বায়ু দেশের উপর কম সক্রিয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরেও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে৷ দিনদুয়েকের মধ্যে একটা নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে৷ এমন আবহাওয়ায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে৷' লঘুচাপের ফলে দিনদুয়েকের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে ভ্যাপসা গরমে কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷
আশ্বিন মাস প্রায় শেষ, হেমন্ত দরজায় কড়া নাড়ছে৷ এখন দিনে গরম থাকলেও শেষ রাতে তাপমাত্রা কমে ভোরের বাতাসে ঠান্ডা ভাব৷ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া-সহ বৃষ্টি/বজ্র-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে৷ অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত এবং এক থেকে তিনটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে৷ এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে৷
গত মাসে বঙ্গোপসাগরে তিনটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং এর একটি ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব' এর রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে৷ তবে সেই ঝড়ের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশে৷