ভারত থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের সময় আটারি সীমান্তে পাঁচিল টপকাতে গিয়ে ধরা পড়ল ১১ জন বাংলাদেশি। আটারি সীমান্তে কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা স্থলবন্দরের পাঁচিলের ওপর থেকে তাদের গ্রেফতার করে BSF. বুধবার আটারি সীমান্তে পতাকা নামানোর অনুষ্ঠানের পরে ভারত থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা। ধৃতদের কারও কাছেই কোনও বৈধ নথি ছিল না।
BSF সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার অমৃৎসর পৌঁছে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করতে আটারি সীমান্তে যায় ১১ জন বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৩টি শিশুও রয়েছে। পতাকা নামানোর অনুষ্ঠানের পর সাধারণ মানুষ যখন ফিরে যাচ্ছেন তখন নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করে তারা। বিষয়টি স্থানীয় এক বাসিন্দার নজরে পড়ে। সে বাংলাদেশিদের মাথাপিছু ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সীমান্ত পার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাংলাদেশিদের কাছে তখন অত টাকা ছিল না। পাকিস্তানে পৌঁছে তারা টাকা দেবে বলে জানায়। এর পর রাত ৮টা থেকে ১১.৩০ মিনিট পর্যন্ত ১১ জন বাংলাদেশিকে সীমান্তের পাশে একটি খালি বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখে ওই ব্যক্তি। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে পাশের একটি গ্রামের দিকে তাদের নিয়ে আসে সে।
এর পর কাটারি দিয়ে তার কেটে তাদের ১১ ফুট উঁচু সীমান্ত প্রাচীরের কাছে বাংলাদেশিদের নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এর পর কাঁধে করে একে একে তাদের সীমান্ত পার করে। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে এক মহিলা গর্ভবতী ছিলেন। পাঁচিল টপকাতে গিয়ে তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায়। যার জেরে ব্যপক রক্তপাত হতে থাকে তাঁর। এর জেরে গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ১১ জন বাংলাদেশি স্থলবন্দরে বিএসএফের একটি বাঙ্কারে আত্মগোপন করে ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ২টো নাগাদ বিএসএফ তাদের গ্রেফতার করে। অসুস্থ বাংলাদেশি নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্জাব পুলিশকে মানবপাচারের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। ঘটনায় আটারি সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।