শিশুদের টিকাকরণের বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের আগে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ১০ বছরের কম শিশুদের বাবা-মা'র টিকাকরণের পরিকল্পনা করছে উত্তরপ্রদেশ।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকেো মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর তৃতীয় ঢেউ থেকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য ১০ বছরের থেকে কম শিশুদের অভিভাবক বা আত্মীয়দের টিকাকরণ করব আমরা। সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ’
গত ১ মে থেকে দেশে ১৮-৪৪ বছরের মানুষদের জন্য টিকাকরণ শুরু করেছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বেও চলছে টিকাকরণ। যদিও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব অভিযোগ করেছেন, টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাবে ধুঁকছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
স্বাস্থ্য সচেতনতা সংক্রান্ত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ই-সামিটে সেরামের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জানান, প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেজন্য ৬০ কোটি ডোজ লাগত। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আগেই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের জন্য টিকাকরণ শুরু করে দেয় কেন্দ্র। তারপর শুরু হয়ে যায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ। অথচ ‘অত পরিমাণ টিকা যে নেই, তা ভালোভাবেই’ জানত কেন্দ্র। সেইসঙ্গে সুরেশের আক্ষেপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা পালন করা উচিত ছিল মোদী সরকারের। সেইমতো টিকাকরণ কর্মসূচি চালানোর প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবথেকে বড় শিক্ষা। কোনও দ্রব্য কত আছে, সেটা আগে বুঝতে হবে। তারপর সেইমতো সেই দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে।’
সুরেশ জানান, করোনাভাইরাসের মোকাবিলার জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু টিকা পাওয়ার পরও করোনাভাইাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তিনি বলেন, ‘তাই সতর্ক থাকুন এবং করোনাভাইরাস সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। যদিও ডবল মিউট্যান্ট ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা করা হয়েছে, অন্য প্রজাতিগুলি টিকাকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, 'কোন টিকা বেছে নেওয়া হবে, সেই বিষয় বলতে গেলে যে টিকা পাওয়া যাবে, তা নেওয়া যেতে পারে। সেই টিকাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পেতে হবে। কোনও টিকা কার্যকরী এবং কোনটি নয়, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়।'