গণতান্ত্রিক উপায়ে পাল্লা দিতে না পারলেই দেশের বিভিন্ন অংশে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। কোনও দলের নাম না করে এমনই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হুঁশিয়ারি দিলেন, যাঁরা বিজেপি কর্মীদের হত্যা করছেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দেবে আমজনতা।
বুধবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে ‘ধন্যবাদ বিহার’ অনুষ্ঠানে ছিলেন মোদী। বিহারের সাফল্য উদযাপনের সেই মঞ্চ থেকে নাম না করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ শানান। ‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী’ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে পরিবারতন্ত্রে গড়ে উঠেছে বলে দাবি করেন তিনি।
সেই ভাষণের মধ্যেই মোদী অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক কারণে বিজেপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কোনও রাজ্য বা দলের নাম না করেই তিনি বলেন, ‘যাঁরা গণতান্ত্রিক উপায়ে আমাদের সঙ্গে লড়তে পারছেন না, পাল্লা দিতে পারছেন না, দেশের কয়েকটি প্রান্তে তাঁরা বিজেপি কর্মীদের খুন করছেন। তাঁরা ভাবছেন, বিজেপি কর্মীদের হত্যা করে নিজেদের মনের ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে বোঝাতে চাই যে আমার হুঁশিয়ারি দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ সেই কাজ করবে জনতা। ভোট আসবে, ভোট চলে যাবে, জয়-পরাজয় লেগে থাকবে। কিন্তু গণতন্ত্রে এই হত্যার রাজনীতি কখনও চলতে পারে না। হত্যার রাজনীতি করে কেউ সমর্থন পাবেন না। দেওয়ালে লেখা সেই শব্দ পড়ে নেবেন।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কারও নাম না নিলেও মোদীর নিশানায় যে মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, তা একেবারে স্পষ্ট। এমনিতেই গত লোকসভা ভোটের আগে থেকে বিজেপি নেতাকর্মীদের খুনের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, সেই আক্রমণের ঝাঁঝ তত বাড়িয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। আর এবার পড়শি বিহারের সাফল্য উদযাপনের মঞ্চ থেকে আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা ভোটের সুর বেঁধে দিলেন মোদী।