বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > পোস্টারে ‘কন্যাশ্রী’ হল 'কন্নাশ্রী', ‘চাই’-এ উলটে গেল ‘ই’, কটাক্ষের মুখে দিলীপ

পোস্টারে ‘কন্যাশ্রী’ হল 'কন্নাশ্রী', ‘চাই’-এ উলটে গেল ‘ই’, কটাক্ষের মুখে দিলীপ

বিজেপির বিক্ষোভ। (ছবি সৌজন্য টুইটার)

বানান বিভ্রাটের জেরে কটাক্ষের মুখে পড়লেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বাংলায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু বানান বিভ্রাটের জেরে কটাক্ষের মুখে পড়লেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর পোস্টারে ‘কন্যাশ্রী’ হয়ে যায় 'কন্নাশ্রী'। তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে খোঁচা দেওয়া হয়, যিনি দাবি করেন যে গরুর দুধে সোনা আছে, তাঁর থেকে আর বেশি কী আশা করা যেতে পারে।

বাগনান 'গণধর্ষণকাণ্ডের' প্রতিবাদে বুধবার সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদরা। সেখানে ছিলেন দিলীপ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, অর্জুন সিংরা। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় দিলীপের হাতে থাকা পোস্টারের বানানে। দিলীপের পোস্টারে লেখা ছিল, কন্যাশ্রী চাই না, নারী সম্মান চাই। কিন্তু ‘কন্যাশ্রী’ হয়ে গিয়েছিল 'কন্নাশ্রী'। ‘চাই’-এ ‘ই’ কারের মাত্রাও উলটে যায়। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়েন দিলীপ। তুমুল রসিকতাও করা হয়। সুযোগ বুঝে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করেন, বানান শিখে তারপর প্রতিবাদ করা উচিত বিজেপির। তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় আবার কটাক্ষ করেন, বিজেপি নাকি আবার সোনার বাংলা গড়তে এসেছিল! বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেবে বিজেপি।

তবে পালটা দিতে ছাড়েননি বিজেপিও। বানান বিভ্রাট নিয়ে কটাক্ষের প্রসঙ্গে দিলীপ মন্তব্য করেন, বানান শেখার কোনও প্রয়োজন নেই। বানান শিখেই এসেছেন। তারইমধ্যে অবশ্য প্ল্যাকার্ড পালটে ফেলেন দিলীপ। যদিও সেই 'কন্নাশ্রী' লেখা পোস্টারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

গত শনিবার বাগনানের বাইনানে বিজেপি কর্মীর অসুস্থ স্ত্রী'কে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক কারণেই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরব হয়েছে বিজেপি। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। তারইমধ্যে বুধবার মহিলা কমিশনে যান রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। জমা দেন স্মারকলিপি। অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে ধর্ষণ করা হচ্ছে। ধর্ষকরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হওয়ায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন তৃণমূল নেতা দেবাশিস রানা এবং কুতুবউদ্দিন মল্লিক। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উলটে অন্য দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বন্ধ করুন