উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গোরক্ষপুরের আসন থেকেই নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা করলেন ভীম আর্মির নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ। দলিত নেতা হিসেবে উত্তরপ্রদেশে বেশ জনপ্রিয় চন্দ্রশেখর। এহেন চন্দ্রশেখর সরাসরি যোগীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপির গড়ে ভোট যুদ্ধে নামছেন।
উল্লেখ্য, গোরক্ষপুর চিরকালই বিজেপির গড় হিসেবে পরিচিত। এই আসনটি বিগত কয়েক দশক ধরে জিতে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী। গোরক্ষপুরেরই পাঁচবারের সাংসদ ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এই আবহে গোরক্ষপুর হল যোগীর ঘর। তিনি যেই গোরক্ষনাথ মঠের প্রধান, সেই মঠটি ঘিরেই গোরক্ষপুর শহরের বিস্তার। এহেন গোরক্ষপুরে যোগীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর নেপথ্যে থেকে থাকতে পারে বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চন্দ্রশেখরের এই চালে রাজ্য জুড়ে দলিতরা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বিজেপির উত্তরপ্রদেশ জয়ের ফর্মুলা ছিল জাতি ভেদের অঙ্ক ভেঙে হিন্দু ভোটকে একত্রিত করা।
এর আগে দীর্ঘ জল্পনার পর বিজেপির তরফে গোষণা করা হয়েছিল যে গোরক্ষপুর থেকেই ভোটে লড়বেন যোগী আদিত্যনাথ। এই আসন থেকে যোগীকে দাঁড় করানোর নেপথ্যে মূল কারণ, নিজের আসনে যাতে যোগীকে বেশই সময় না দিতে হয়। হাতের তালুর মতো চেনা গোরক্ষপুরে যোগীর সংগঠন এমনিতেই মজবুত। এই পরিস্থিতিতে অযোধ্যা বা মথুরা থেকে দাঁড়াতে হলে যোগীকে সেই আসনগুলিতে বেশি সময় কাটাতে হবে। এতে বিজেপির অন্য প্রার্থীর হয়ে প্রচারের সময় কম পাবেন যোগী। উল্লেখ্য, গোরক্ষপুর পূর্ব উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। বিজেপির গড় হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চল। তবে বিগত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন দলিত বিধায়ক ও মন্ত্রী বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে অখিলেশের দলে নাম লিখিয়েছেন। আজদ নিজেও অকিলেশের সঙ্গে জোট গড়তে ইচ্ছুক ছিলেন। তবে পরবর্তীতে আসন সমঝোতা না হওয়ায় জোটের আলোচনা ভেস্তে যায়।