মধ্যপ্রাচ্যে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝেই কয়েকদিন আগে খবর এসেছিল যে, জর্ডনে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে এক ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩ মার্কিন সেনার। সন্দেহ ছিল ইরাকে অবস্থান ইরান সমর্থিক সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে। এরপরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ড সাফ জানান, এমন পদক্ষেপ করা হবে, যাতে ইরান ও তার ছায়াসঙ্গী ওই গোষ্ঠীগুলি ওমন কাজ দ্বিতীয়বার করতে ভাববে। সেই মতোই ভোররাতে ইরাক-সিরিয়ার সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় ৮৫ টার্গেটে হামলা চালাতে থাকে আমেরিকা।
সামনেই ভোট আমেরিকায়। এদিকে, তারই মাঝে জর্ডনে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা বড় ধাক্কা দিয়েছে বাইডেন প্রশসানকে। তারপরই বিশেষ পরিকল্পনা করে ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীকে 'শিক্ষা' দিতে উদ্যত হয় বাইডেন প্রশাসন। তিন মার্কিন সেনার মৃত্যুর পর থেকেই বাইডেন চাইছিলের শক্তি প্রয়োগ করে এই হামলার জবাব দেওয়া হোক। এরপরই শনিবার ৮৫ টি জায়গায় আমেরিকা চালায় হামলা। শুধু তাই নয়, ইরান সমর্থিক সশস্ত্রবাহিনী যাতে পিছু হঠে, তারও জায়গা করে রাখে আমেরিকা। যাতে সংঘাত তুঙ্গে না যায়, তার জায়গা ছেড়ে রেখে ইরান সমর্থিক গোষ্ঠীকে টার্গেট করে এই হামলা সিরিয়া ও ইরাকের সীমান্তে চালায় বাইডেন সরকার। এর আগেই, বাইডেন ইরান সমর্থিক গোষ্ঠীকে টার্গেট করে হামলা নিয়ে একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই পরিকল্পনা টেলিগ্রাফও করেন তিনি। সে যে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছে, ইরানকে এই যন্ত্রণার টের পাওয়াবে আমেরিকা। তিনি সাফ বার্তায় বলেছিলেন, মার্কিনি সামরিক শক্তির সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে এই হামলার জবাব দেওয়া হবে। এরই সঙ্গে বেশ কিছু ‘অপশন’এর রাস্তাও খোলা রাখার কথা বলেছিলেন জো বাইডেন। জানা যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন, বলপূর্বকই এই ঘটনার জবাব দেওয়া হোক। এরইসঙ্গে কূটনৈতিক পথে বাইডেন চেয়েছিলেন যাতে, সেখানের আঞ্চলিক দ্বন্দ্বকে উস্কানি দেওয়া না হয়।
এদিকে, ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে মার্কিনি স্ট্রাইকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমাদের জবাব শুরু হল আজ থেকে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা চলবে আমাদের বাছাই করা সময় আর জায়গা নির্ধারিত করে।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসা দূরপাল্লার বি-১ বোমারু বিমানগুলি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস কুদস ফোর্স এবং ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীদের ওপর আছড়ে পড়তে চলেছে।