অবিনাশ কুমার
এবার চিটফান্ডের রমরমা রুখতে কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে বিহার পুলিশ। যে চিটফান্ডগুলি সাধারণ মানুষের টাকায় ভাগ বসায় তাদের থেকে আমজনতাকে দূরে রাখার জন্য় বিশেষ প্রয়াস। এডিজি ( ইকনমিক অফেন্স ইউনিট) এনএইচ খান জানিয়েছেন, রাতারাতি ঝাঁপ বন্ধ করে দেয় ওই কোম্পানিগুলি। পাটনা আর ত্রিহুত এলাকায় এই কোম্পানিগুলির রমরমা রয়েছে। তবে রাজ্যের অন্য়ত্রও এর ডালপালা রয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, বিহার প্রটেকশন অফ ইন্টারেস্টস অফ ডিপোজিটরস (BPID) অ্যাক্ট ২০০২ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্তত ১৬৬টি ক্ষেত্রে এই আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোর্টেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, স্বর্ণ ইন্ডিয়া মাল্টি স্টেট কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে অন্তত ১০টি কেস হয়েছে। উত্তর বিহারে এই কেস হয়েছে। অগ্রণী হোমস প্রাইভেট লিমিটেডের নামে আরও ২০টি মামলা । ১২০টি ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
এদিকে ২০১৩ সালে এই বিপিআইডি সংশোধন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে জেলাশাসকদের ক্ষমতা দেওয়া হয় এই ভুয়ো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচিও করা হয়। কষ্টের টাকা যাতে কিছুতেই এই সমস্ত সংস্থার হাতে তুলে না দেন সাধারণ সেকারণে এই সতর্ক করা হয়।
এদিকে বিহারে দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের চিটফান্ডের একটা প্রবণতা রয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে, গরিব মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে তাঁর কষ্টের টাকা নিয়ে নেওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। তবে শুধু যে তারা টাকা জমা রাখে সেটা নয়, অনেক সময় তারা টাকা ধারও দেয়।
সম্প্রতি অন্য়তম বড় এই কেলেঙ্কারি হল সৃজন কেলেঙ্কারি। সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করছে। একাধিক সরকারি আধিকারিক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে খবর। এদিকে গতবছর বিহার সরকার সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছিল এই সমস্ত সংস্থার কাগজপত্র ঠিকঠাক রয়েছে কি না সেটা দেখতে হবে। তবে দেখা গিয়েছে ভিনরাজ্য থেকেও বিহারে এই ধরনের চিটফান্ড চালানো হচ্ছে।
বাংলাতেও একটা সময় চিটফান্ডের রমরমা ছিল। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের নেতৃত্বে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।