উৎসবের মরশুম চলছে। মাসের শুরুতেই যখন দুর্গাপুজো তখন অবশ্যই খরচ খরচার দিক থেকে বেতনের দিকে তাকিয়ে থাকেন সকলে। তবে বিহারের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কলেজের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সেই বেতনের জন্য পুজোর পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্বভাবতই ক্ষোভ বাড়ছে।
কেন হল দেরি ?
২৬ সেপ্টেম্বর বিহারের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের প্রদেয় বেতনের জন্য গ্র্যান্টের টাকা বের করার ঘোষণা করা হয়। তবে, সমস্যা হয় অন্য ক্ষেত্রে। সরকারি তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আগের গ্র্যান্টের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ সময়মতো বের করতে পারেনি। তার জেরেই কর্মীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সমস্যা হতে শুরু করে। সরকারি তরফে দাবি করা হচ্ছে যে, আগে বহুবার বলা হয়েছে, এই সার্টিফিকেট যেন পেশ করা হয়। তবে তাতে প্রবল দেরি হতেই বিপত্তি শুরু হয়। এয়ারটেল-এর ফাইভ জি পরিষেবা খুব শিগগিরিই ৮ শহরে আসন্ন! বাকিরা কবে নামছে ময়দানে?
অভিযোগের পাহাড়
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রদেয় যে গ্র্যান্ট থেকে সরকার বেতন দেয়, তা জুন জুলাই মাস নাগাদই বের করেছে বলে জানানো হয়েছে বিহার সরকারের তরফে। এমনকি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের জন্যও বেতনের গ্র্যান্টের টাকা বের করা হয়। যদিও ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বিহারের তরফে বলা হচ্ছে, সরকার প্রতিবারই অধ্যাপক শিক্ষকদের প্রদেয় বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে এমনই সমস্যা করে। সংগঠনের তরফে কেবি সিনহা বলছেন, ‘আমরা গ্র্যান্টের টাকা বের করতে চাইছি, তবে অর্থ মন্ত্রক (বিহারে) কেবলই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটের কথা চিন্তা করছে।’ উল্লেখ্য, দেখা যাচ্ছে, প্রতিবারই নতুন গ্র্যান্ট বের করার আগে , গত ১৮ মসের গ্র্যান্টের টাকা কীভাবে ব্যবহার হয়েছে তার সার্টিফিকেট চায় সরকার। আর সেই জায়গা থেকেই বিপত্তি শুরু হয়। যার জেরে বেতন নিয়ে দেরির সমস্যায় ভোগেন অধ্যাুক, শিক্ষকরা।