মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ। লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনে বড় আপডেট। এই বিলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়গুলি নিয়মিতকরণ করা, তাঁদের চাকরির শর্ত ঠিকঠাক করা হবে। তবে এটা অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে খবর।
গত ১০ অগস্ট এই বিলটা সংসদে পেশ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল এই বিলটি পাশ করেন। তার আগে রাজ্যসভায় ইলেকশন কমিশনার্স বিল পাশ করা হয়েছে রাজ্যসভায়। তবে এনিয়ে বিরোধীরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই বিলের মুখ্য বিষয়গুলি হল, ইলেকশন কমিশন অ্য়াক্ট ১৯৯১এর জায়গায় নতুন বিল আনা। এই নতুন বিলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, তাঁদের বেতন, অপসারণ সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি থাকবে। শুধু মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নয়, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার সংক্রান্ত ব্যাপারগুলিও এর মধ্য়ে থাকবে।
সেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন সিলেকশন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, অথবা লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতার সুপারিশও কার্যকরী হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও এই কমিটির সুপারিশ প্রযোজ্য হবে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটা সার্চ কমিটি এই সিলেকশন কমিটির কাছে কয়েকটি নাম দেবে। আগে ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির মতো তাঁদের বেতন হবে। এবার ক্যাবিনেট সচিবের মতো তাঁদের বেতন হবে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বিলে ভারতের প্রধান বিচারপতির কোনও ভূমিকা থাকছে না। এদিকে চলতি বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সিলেকশন কমিটি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে পারবেন। নতুন আইন না আসা পর্যন্ত এটা করা যাবে বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু এবার নয়া আইনে প্রধান বিচারপতির নামই বাদ। এনিয়েই আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা।