হাঁসের শরীরে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার জেরে কেরালার আলাপুঝা ও কোট্টায়ম জেলায় সতর্কতা জারি করল প্রশাসন। কেরালার প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কে রাজু জডানিয়েছেন, কমপক্ষে ৫০,০০০ হাঁসকে কালিং পদ্ধতির সাহায্যে এই জীবাণু সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তার জন্য হাঁসপালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আলাপুঝা জেলা পশুচিকিৎসা আধিকারিক কে লেখা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিপুল পরিমাণে হাঁস মারা যাওয়ায় নতুন করে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পরে ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিওরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেস-এ পরীক্ষায় মৃত পাখির দেহে ওই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
কেরালার সাম্প্রতিক বার্ড ফ্লু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংক্রমণ রোধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার বৈঠক ডেকেছেন কেরালার প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।
২০১৬ সালে কেরালার আলাপুঝা ও পাঠনমথিট্টা জেলায় বার্ড ফ্লু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে কমপক্ষে ২ লাখ মুরগি ও হাঁস ‘কাল’ করা হয়। এর জেরে ওই দুই জেলায় মুরগির দাম একলাফে বহু গুণ বেড়ে যায়।
পাখির শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বিভিন্ন ধরনের যে ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দেয়, তাকেই বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ফ্লু বলা হয়। এই ভাইরাস মানবদেহেও সংক্রমিত হতে পারে এবং তার জেরে বহু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশ কয়েক ধরনের বার্ড ফ্লু ভাইরাস থাকলেও সবচেয়ে বিপজ্জনক মনে করা হয় H7N9 প্রজাতির ভাইরাসকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার নানান উপ-প্রজাতি রয়েছে, যার মাত্র কয়েকটি মানবশরীরের পক্ষে মারাত্মক বলে চিহ্নিত। েই ভাইরাস পাখির মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ে।