গুজরাট দাঙ্গায় ষড়যন্ত্রে নাম জড়িয়েছে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের। এই আবহে এবার সরাসরি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তোপ দাগল বিজেপি। সম্প্রতি গুজরাট সরকারের গঠিত এসআইটি-র রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০০২ সালের দাঙ্গায় হিংসা ছড়ানোর নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন আহমেদ প্যাটেল। কংগ্রেস নেতাই নাকি সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদকে ৩০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির তরফে সরাসরি সোনিয়া গান্ধীকে তোপ দাগা হয়। উল্লেখ্য, আহমেদ প্যাটল সোনিয়া ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তিনি সোনিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টাও ছিলেন।
এই আবহে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বললেন, ‘আজ হলফনামায় বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে যে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু কারা এই ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল? প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর প্রাক্তন প্রধান রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমেদ প্যাটেল। এসআইটি হলফনামা অনুসারে আহমেদ প্যাটেল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন কিন্তু ষড়যন্ত্রের পিছনে প্রকৃত চালিকা শক্তি ছিলেন তাঁর বস, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।’
উল্লেখ্য, গুজরাট সরকার গঠিত বিশেষ তদন্ত দল অভিযোগ করেছে যে ২০০২ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা শীতলবাদ। এসআইটি-র দাবি, গোধরায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পরেই সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করেন।
হলফনামায় এসআইটি-র তরফে বলা হয়েছে, ‘দুই সাক্ষীর জবানবন্দি প্রমাণ করে যে শীতলবাদ অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। রাজ্যসভার তৎকালীন সংসদ সদস্য তথা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে এই ষড়যন্ত্র হয়েছিল।’ উল্লেখ্য, সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এসআইটি দাবি করেছে যে গোধরা কাণ্ডের কয়েকদিন পরই কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিস্তা। সেই সময় তিনি ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতার থেকে। এই বৈঠকের দুই দিন পরই দু’জনে আবারও মিলিত হন। এবার বৈঠকটি হয় শাহিবাগের সরকারি সার্কিট হাউজে। সেখানেই আরও ২৫ লাখ টাকা তিস্তাকে দেন আহমেদ প্যাটেল। এই নগদ অর্থ কোনও সাহায্যার্থে ছিল না।