২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ১০৬টি আসনে। বিধানসভার সর্ববৃহৎ দল হয়ে সরকার গঠনও করেছিল পদ্ম শিবির। তবে সেই সরকারের মেয়াদ ছিল মাত্র ৮০ ঘণ্টার। সেই সময় অজিত পাওয়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। যদিও শরদ পাওরারের রাজনৈতিক দক্ষতার সামনে সেই সরকারের মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী ছিল না। তবে সেই ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর ফের একবার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সুযোগ এসেছে বিজেপির কাছে। শিবসেনার একনাথ শিন্ডের দৌলতে বিজেপির কাছে এই সযোগ এসেছে। এই আবহে একনাথ শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিল বিজেপি।
গতকাল চরম নাটকের মাঝেই একনাথ শিন্ডে নিজেই শিবসেনার উপর অধিকার দাবি করেছেন। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর জারি হুইপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে নিজেই মুখ্য সচেতক নিয়োগ করেন একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের দাবি, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে শিবসেনার অপ্রকৃতস্থ জোট ভেঙে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে হবে। হিন্দুত্বের ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন শিন্ডে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপিও নিজেদের প্রস্তাব পেশ করেছে শিন্ডের সামনে। নিজের অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠন করলে শিন্ডেকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দেবে বলে প্রস্তাব পদ্ম শিবিরের। এই একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অজিত পাওয়ারকেও।
বিজেপির কাছে বর্তমানে ১০৬ জন বিধায়ক আছে। ২৮৭ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য বিজেপির প্রয়োজন আরও ৩৮ জন বিধায়ক। এদিকে শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে বর্তমানে অন্তত ৪৬ জন বিধায়ক আছেন। যার মধ্যে শিবসেনার ৩৪ জন আছেন। আবার রাতের দিকে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিবসেনার আরও কয়েকজন বিধায়ক গুয়াহাটিতে পা রেখেছেন বলে খবর। এই আবহে শিন্ডে গোষ্ঠী বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এবং সেরমটা হলে শিন্ডে গোষ্ঠীকে ৯টি মন্ত্রক দিতে পারে বিজেপি। আগেরবার অজিত পাওয়ারকেও এই একই সংখ্যক মন্ত্রকের প্রস্তাব দিয়েছিল