ভয়াবহ, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। ১৯ বছরের এক গর্ভবতী তরুণীকে মাথা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আর সেই খুনের ঘটনায় সহায়তা করেছে মা, অভিযোগ এমনটাই। পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করার অভিযোগে ওই তরুণীকে এভাবে শাস্তি দিয়েছে তার পরিবার। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের ঘটনা।
নিউজ এজেন্সি সূত্রে খবর, ৩৮ বছর বয়সী মায়ের সহায়তায় ১৮ বছর বয়সী ভাই দিদির মাথা কেটে প্রতিবেশীদের দেখায়। এমনকী ওই কাটা মাথার সঙ্গে সেলফিও তোলে তারা। এরপর প্রতিবেশীদের তারা জানায় পরিবারের অমতে বিয়ে করার জন্য এভাবে মাথা কেটে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কার্যত অনার কিলিংয়ের এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে ওই তরুণী বিয়ে করেছিলেন। পরিবারের অনেকের এই বিয়েতে সম্মতি ছিল না। এদিকে মাকে সঙ্গে নিয়ে ভাই তার দিদির বাড়িতে গিয়েছিল। তারা যাতে একান্তে কথা বলতে পারেন সেকারনে ওই মহিলার স্বামী ঘর থেকে বেরিয়ে যান। অভিযোগ, আগে থেকেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল ভাই। মা আর ভাইয়ের জন্য চা করতে গিয়েছিলেন তরুণী। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দিদির গলা কেটে দেয় ভাই। এদিকে ঘটনাচক্রে সেই সময় তার স্বামীও চলে আসেন। কিন্তু শ্য়ালকের রুদ্ররুপ দেখে তিনি পালিয়ে যান। এরপর মা ও ভাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।