কংগ্রেসের আপত্তি উপেক্ষা করে কৃষি বিল পাশ হয়ে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর আইনে পরিণত হয়েছে। এবার কী ভাবে সেটাকে রাজ্যে রাজ্যে রোখা যায়, তার জন্য শলা পরামর্শ শুরু করেছে দল। এবার কংগ্রেস সভানেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে কৃষি আইন রোখার জন্য কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি যেন নিজেদের আইন প্রণয়ন করে।
সংবিধানের ২৫৪(২)-এর আওতায় আইন প্রণয়ন করার সম্ভাবনার কথা খতিয়ে দেখছে রাজ্যগুলি। এদিন কেসি বেনুগোপাল বলেন যে এই সংক্রান্ত আইনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন সোনিয়া। তাদের দাবি রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র ও সেটিকে রোখার জন্যই আইন দরকার।
বেনুগোপাল বলেন যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে দেওয়া ও মান্ডি ব্যবস্থায় বদল যাতে কংগ্রেসি রাজ্যে প্রভাব না পড়ে, তার জন্যেই এই পরামর্শ দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। এর জন্য কংগ্রেস যে আইন ব্যবহার করছেন, সেটা ঘটনাচক্রে বিজেপি রাজ্যগুলি ব্যবহার করেছিল কংগ্রেস আমলের জমি অধিগ্রহণ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর জন্য।
জয়রাম রমেশ সেই কথা এদিন মনে করিয়ে দেন, যে ২০১৫ সালে অর্থমন্ত্রী হিসেবে অরুণ জেটলি রাজ্যদের সংবিধানের ২৫৪(২) ব্যবহার করতে বলেছিলেন ইউপিএ-র দ্বারা পাশ করা ২০১৩-র জমি অধিগ্রহণ আইনকে অবজ্ঞা করার জন্য।
সংবিধানে যে সব বিষয়গুলি কনকারেন্ট অর্থাৎ যৌথ তালিকায় আছে সেগুলির জন্য নিজেদের আইন তৈরী করতে পারে রাজ্য, কেন্দ্রের আইন না মেনে।
কৃষি আইন নিয়ে সবচেয়ে বেশি হইচই হচ্ছে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় যেখানে মান্ডি ব্যবস্থা খুব সংগঠিত। সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার কথা বলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এবার বিকল্প পথও খুঁজতে লাগল বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি।