ঝাড়খণ্ডের বিচারকের মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নিল সিবিআই। ইতিমধ্যে ২০ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ‘অবিলম্বে’ সিটের তদন্তকারীরা ধানবাদে যাচ্ছেন। যাঁরা ঝাড়খণ্ড পুলিশের থেকে মামলার বিভিন্ন নথিপত্র নেবেন। সংগ্রহ করবেন প্রমাণ। সঙ্গে সন্দেহভাজন এবং ধৃতদের জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
গত মাসের শেষের দিকে ভোর পাঁচটা ধানবাদের একটি ফাঁকা রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণের সময় একটি গাড়ি ধাক্কা মারে অ্যা়ডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ উত্তম আনন্দকে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই কার্যত সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে বিচারককে ধাক্কা মারা হয়েছে। তারপর গাড়িটি পালিয়ে গিয়েছে। যিনি ধানবাদ টাউনের মাফিয়া সংক্রান্ত একাধিক মামলার দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি দু'জন গ্যাংস্টারের জামিনের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছিলেন।
সেই ঘটনায় লখন বর্মা এবং রাহুল বর্মা নামে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা সেই চুরি করা গাড়ি চালাচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রায় ২৫০ জনকে। তবে এখনও সম্ভাব্য খুনের কারণ জানা যায়নি। তারইমধ্যে শনিবার সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন। নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানান, কেন্দ্রের কর্মীবর্গ দফতরের বিজ্ঞপ্তির পর ঝাড়খণ্ড পুলিশের দায়ের করা এফআইআরের পর আবারও নতুন করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।