তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তারইমধ্যে ৩০ কোটি করোনাভাইরাস টিকার ডোজ কেনার জন্য ভারতীয় সংস্থা বায়োলজিকাল-ইয়ের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলল কেন্দ্র। আগামী অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সেই টিকা প্রদান করবে হায়দরাবাদের সংস্থা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে বায়োলজিকাল-ই সংস্থার সম্ভাব্য করোনা টিকার আশাব্যঞ্জক ফল মিলেছে। আপাতত তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চলে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের দাবি, বায়োলজিকাল-ই যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখেছে টিকাকরণ সংক্রান্ত জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। তার ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত মাসেই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয, অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ২০০ কোটির বেশি করোনাভাইরাস টিকার ডোজ তৈরি হবে। যা সমগ্র দেশের মানুষের টিকাকরণের জন্য যথেষ্ট। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল জানান, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন-সহ দেশীয় টিকার মাধ্যমেই ২০০ কোটি ডোজের লক্ষ্যমাত্রা পার হওয়া যাবে। সম্ভাব্য যে ২১৬ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন হবে যথাক্রমে ৭৫ কোটি এবং ৫৫ কোটি ডোজ ধরা হয়েছে। বায়োলজিকাল ই, জাইডাস ক্যাডিলা, নোভাভ্যাক্স, ভারত বায়োটেকের নাসাল টিকা এবং জেনোভার এমআরএ টিকার যথাক্রমে ৩০ কোটি, পাঁচ কোটি, ২০ কোটি, ১০ কোটি এবং ছ'কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি'র ১৫.৬ কোটি ডোজ আছে। যা ভারতেই তৈরি হবে।
সেইমতো ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আগেভাগেই চুক্তি করে রেখেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রি-ক্নিনিকাল থেকেই বায়োলজিকাল-ইয়ের ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে কেন্দ্রের জৈবপ্রযুক্তি দফতর। আর টিকার ডোজ কেনার জন্য অগ্রিম হিসেবে ১,৫০০ কোটি টাকা দিয়ে দেবে কেন্দ্র।