'ভ্যাকসিন অ্যাট ডোর স্টেপ' -এর সুবিধা কারা পেতে পারেন? এই প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের সামনে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে মোদী সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, যাঁরা শয্য়াশায়ী বা চরম প্রতিবন্ধকতার শিকার তাঁদেরই একমাত্র বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার নিজের চিঠিতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে জানিয়েছে যে, যাঁরা শয্যাশায়ী বা অত্যন্ত সীমাবদ্ধ চলাফেরায় চরম অক্ষম বা যাঁদের যত্নের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরাই একমাত্র বাড়িতে বসে ভ্যাকসিন পেতে পারেন।
ইভারা ফাউন্ডেশন নামে এক সমাজসেবী সংস্থার দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করে কেন্দ্র। এই মামলায় ওই সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়, যাঁরা প্রতিবন্ধী তাঁরা যদি সেন্টারে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন, তাহলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের। এবিষয়ে জয়েন্ট কমিশনার (ইমিউনাইজেশন) বীণা ধাওয়ান জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সংক্রান্ত আইন ২০১৬ অনুযায়ী সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বলা হয়েছে যাতে 'নিয়ার-টু-হোম' ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলিকে চালু রাখা হয় ও বাকি কোভিড ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলিকেও যাতে চালু রেখে সেখানে প্রতিবন্ধী মানুষকে ভ্যাকসিন পেতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। এদিকে, কেন্দ্র জানিয়েছে, এমন ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে যাতে, বৃদ্ধাশ্রম বা প্রতিবন্ধীস্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে একটি গোষ্ঠীর মধ্যে এনে সেখানে ভ্যাকসিনেশন সেন্টার চালু করা যায়। সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১১ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দেশে ১, ৫২,৯৫,৪৩,৬০২ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৩,৬৭৮ জন প্রতিবন্ধীকেও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই সংখ্যক প্রতিবন্ধীরা নিজে থেকে নিজের পরিচয়পত্র দিয়ে নাম রেজিস্টার করেছেন ও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
এদিকে, যে প্রতিষ্ঠান থেকে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়, তারা জানিয়েছে, বহু প্রতিবন্ধীরই পরিচয় পত্র নেই। সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান ইভারার তরফের আইনজীবী শশাঙ্ক সিং জানিয়েছেন, ' একটা বড় অংশের প্রতিবন্ধী মানুষ বিশেষত গ্রামীন এলাকায় পাচ্ছেন না সরকারের দেওয়া বৈধ পরিচয় পত্র। এই প্রান্তিক বাসিন্দাদের জন্য পরিচয়পত্রের বৈধতা আবশ্যিক করা উচিত নয়।' এর উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারত সরকার কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে চেষ্টা করছে যাতে প্রতিবন্ধী মানুষরা এই ভ্যাকসিনেশন পেতে আরও সহজ উপায় অবলম্বন করতে পারেন।