একটিই KYC। তাহলেই যথেষ্ট। বারবার আলাদা আলাদা কাজের জন্য ভিন্ন KYC-র কোনও দরকার নেই। খুব শীঘ্রই এই নীতি বাস্তবায়িত করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এমনটা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
'নো ইয়োর কাস্টমার' বা সংক্ষেপে KYC-র জন্য বেশ কিছু নথি বৈধ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।
FICCI ২০২২ সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে এই উদ্যোগের কথা জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, একবার একজন গ্রাহক KYC জমা করলেই তা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাত্ একটা কেওয়াইসি করে নিলেই তা সর্বত্র ব্যবহার করা যাবে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে মিলেছে এই খবর।
নির্মলা সীতারামন এই বিষয়ে ব্যাখ্যা করে বলেন, সরকার এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থারা এটি বাস্তবায়িত ও সহজ করে তোলার বিষয়ে কাজ করছে। গত সপ্তাহে, অর্থমন্ত্রী এবং আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রকরা ব্যাঙ্কিং, বিমা এবং পুঁজিবাজারের জন্য এই একটি সাধারণ কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। আরও পড়ুন: CKYC: ব্যাঙ্কে KYC করতে আধার, প্যান লাগবে না এরপরে! এই নম্বরটা দিলেই যথেষ্ট
এই এক KYC-র ব্যবস্থা চালু হলে, বারবার প্রচুর নথিপত্র নিয়ে ঘুরতে হবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নতুন কাজ করাতে হলে আর কোনও মাথা ব্যাথা থাকবে না আমজনতার। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলা, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা, নতুন আমানত করা- যা-ই করুন না কেন, এই একবার KYC করা থাকলেই যথেষ্ট।
আবার এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিরও সুবিধা হবে। অনেক সময় একই গ্রাহক ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা KYC প্রামাণীকরণ দেন। আর সেই কারণে পুরো প্রক্রিয়াটায় একটি অসামঞ্জস্য এসে যায়।
শুধু তাই নয় একই ব্যাঙ্কে বা অন্য ব্যাঙ্কে ইতিমধ্যেই কোনও ব্যক্তির কতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই সম্পর্কে সহজেই তথ্য পাওয়া যাবে। এর ফলে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত আর্থিক বেনিয়মও সহজে ধরা যাবে।
চালু হবে CKYC
সেন্ট্রাল KYC বা CKYC। একবার সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে, CKYC করা কোনও গ্রাহককে ভারতের কোথাও, নতুন কোনও আর্থিক পরিষেবা পাওয়ার জন্য আলাদা করে আর KYC নথির ঝামেলায় যেতে হবে না। শুধুমাত্র CKYC-র নম্বর জানালেই যথেষ্ট। সেটার থেকেই ডেটাবেস যাচাইকরণ সেরে ফেলবে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান।