কাজের ক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে মহিলার সমান প্রাধান্য দেওয়ার পথেই হাঁটছে চিন। এই বিষয়ে পরের বছর আইনে একটি সংশোধনীও আনা হচ্ছে। পাশাপাশি কোনও মহিলা বিবাহিত নাকি বিবাহিত নয় কিংবা তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা কিনা, এই বিষয়েও কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। সম্প্রতি চিনে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে নানা ভাবে হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ সামনে উঠেছে। এই সব অভিযোগ সামনে আসার পরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সম্প্রতি চিনে মহিলাদের অধিকার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সংশোধনী আনার ব্যাপারে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি একটি বৈঠকে বসে। পাঁচদিন ধরে বৈঠক চলার পর গত শুক্রবার সেই আলোচনা শেষ হয়। আগামী বছর সংশোধিত আইন ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে পাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আইনি সংশোধনী কার্যকর হয়ে গেলে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের হেনস্থা অনেকটাই কমে যাবে বলে দাবি চিনের। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত এক নেতা জানান, মহিলাদের অধিকার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত যে আইন এখন রয়েছে, তা আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এখন মহিলাদের অনেক সময়ে কাজে নিয়োগের আগে নিয়োগপত্রে লিখিয়ে নেওয়া হয় যে তাঁদের গর্ভবতী হওয়া যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারে মহিলাদের সরব হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। গত জুন মাসে মানবাধিকার নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি আরও একটি তথ্য সামনে এসেছে যেখানে বলা হয়েছে, সিভিল সার্ভিসে ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে যে নিয়োগ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পাঁচ ভাগের এক ভাগ পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে পুরুষদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।
য দেওয়া হয়েছিল।