ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে সামাজিক অধিকার সংগঠনগুলির তাদের বাক স্বাধীনতাকে যেভাবে ব্যবহার করছে তা ভয়ানক হতে পারে, বলে বার্তা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই বার্তা দেন।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়েও সতর্কতার সুর শোনা যায় প্রধান বিচারপতির কণ্ঠে। সংগঠিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো ইস্যু নিয়ে সতর্কতার সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নাগরিক অধিকারের সক্রিয়তার একটি অপরিহার্য অংশ বলে মনে করা হয় কারণ এই ভয়ে যে সরকার নির্দিষ্ট ধরণের বক্তৃতাকে বাজারে প্রবেশ করতে বাধা দেবে।’ জাস্টিস ভিএম তুরকুণ্ডে মেমোরিয়াল লেকচারে অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি তোপ দাগেন ‘ট্রোল আর্মি’ দের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ট্রল আর্মির আবির্ভাব এবং সংগঠিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের সাথে, ভয় হল যে সত্যকে বিকৃত করে বক্তৃতার একটি অপ্রতিরোধ্য বাধা রয়েছে।’ নাগরিক স্বাধীনতা বিষয়ক এই আলোচনা সভায় বাক স্বাধীনতার অধিকার ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়ার মতো মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে সচেতন করেন চন্দ্রচূড়।
( Gold and Silver price Today: সোনা ফের সস্তা কলকাতায়! বিয়ের মরশুমে কতটা নামল দাম? নজরে রাখুন রুপোর দর)
বাক স্বাধীনতার ইতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এর একটি উল্টো দিক রয়েছে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম (সোশ্যাল মিডিয়া) বিরূপ মত পোষণ, অ্যাক্টিভিজম, বাক স্বাধীনতা চলছে। এই বিপুল ক্ষমতা নিয়ে থাকা কর্পোরেশনগুলি গ্রহণযোগ্য এবং অগ্রহণযোগ্য বক্তব্যের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করার জন্য তাদের উপর প্রচুর পরিমাণে আস্থা রাখা হয়েছে, যে ভূমিকা আগে পালন করত রাষ্ট্র। এচি বিপজ্জনক দিকে যেতে পারে। ’তিনি উল্লেখ করেছেন যে ‘ডিজিটাল অধিকার সক্রিয়তা একটি অভূতপূর্ব উপায়ে ব্যক্তিগত প্ল্যাটফর্মের সাথে জড়িত’। তিনি ‘ইন্টারনেটে অভূতপূর্ব বিভ্রান্তি এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিস্তার’এর বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছিলেন যা গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতা বোঝার ঐতিহ্যগত উপায়ে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের প্রস্তাব দেয়।