ট্রাইবুনাল সংশোধনী আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় সরকার। এই নয়া আইন নিয়ে কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যানের মেযাদ কমানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, অসাংবিধানিক হওয়ায় এর আগে এই একই ধরনের একটি আইনকে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বাতিল করা হয়েছিল।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এলএন রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করে বলা হয়, 'আপনারা (কেন্দ্র) ট্রাইবুনালগুলিকে ফাঁকা করে দিচ্ছেন।'
সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করা হয়, কলেজিয়ামের প্রস্তাবিত ৯ বিচারপতিকে কেন্দ্র নিয়োগ করতে ৭ দিন সময় নিল। তবে ট্রাইবুনালের সদস্য বা চেয়ারপার্সন পদে কাউকে নিয়োগ করতে দেড় বছর কেন লাগছে। প্রধান বিচারপতি শুনানি চলাকালীন বলেন যে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও সংঘাত চান না। তবে সরকার কোনও বিকল্প রাস্তা রাখছে না বলেও জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমরা কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে কোনও সংঘাত চাই না কিন্তু আমাদের কাছে অন্য কোনও পথ নেই। আমাদের সব ট্রাইবুনাল বন্ধ করে দিতে হবে বা সেখানে সদস্যদের নিয়োগ করতে হবে। তবে আমাদের প্রস্তাব না মানলে সরকারের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ আনা হবে।' পাশাপাশি পরবর্তী সোমবারের মধ্যে সিজিএসটি ট্রাইবুনালে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।