কেন্দ্রীয় মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মেয়ে জোয়িশ গোয়ায় পানশালা চালান বলে অভিযোগ এনেছিল কংগ্রেস। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তিনি পালটা হাত শিবিরকে তোপ দেগেছিলেন। এই আবহে দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়ে দিল স্মৃতি কন্যা যে গোয়ায় কোনও পানশালা বা রেস্তোরাঁ চালান, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। এই আবহে স্মৃতির দায়ের করা দু’কোটি টাকার মানহানির মামলার অভিযোগে সায় দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত।
দিল্লির উচ্চ আদালত স্মৃতির মানহানি মামলার প্রেক্ষিতে বলেছে, ‘পবন খেরা, জয়রাম রমেশ এবং নেট্টা ডিসুজা (তিনজনই কংগ্রেস নেতা) চক্রান্ত করে স্মৃতি ইরানি এবং তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিলেন।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেসের তরফে মৃত ব্যক্তির নামে গোয়ার একটি রেস্তোরাঁকে মদের লাইসেন্স নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। দাবি করা হয়, ‘সিলি সোলস’ নামক পানশালার আসল মালিক স্মৃতি কন্যা। নথি জাল করে লাইসেন্স পেয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ ওঠার পর জোয়িশকে নোটিশ পাঠিয়েছিল গোয়ার আবগারি দফতর। তবে স্মৃতি ইরানি প্রথম থেকেই এই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৩ থেকে বেড়ে পশ্চিমবঙ্গে জেলার সংখ্যা হল ৩০! কোন জেলা ভেঙে কোন জেলা তৈরি হল?
এর আগে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা দাবি করেন, যে পুলিশ আধিকারিক ওই রেস্তোরাঁকে নোটিশ পাঠানোর সাহস দেখিয়েছিলেন, তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। তাঁকে বদলি করার প্রক্রিয়া চলছেও বলে দাবি করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও। এদিকে স্মৃতির আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়, যে নোটিশের উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ কেরছেন, সেরকম কোনও নোটিশ তাঁরা পাননি এবং তাঁর মক্কেল ‘সিলি সোলস’ নামক কোনও রেস্তোরাঁর মালিক নন। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, স্মৃতির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো, মিথ্যা এবং মানহানিকর পোস্ট করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় পড়াশোনা করছেন স্মৃতির মেয়ে। এই আবহে পানশালা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্মৃতি বলেছিলেন, 'আমার মেয়ের দোষ হল যে সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর ৫,০০০ কোটি টাকার লুঠের বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিল ওর মা। ওর দোষ হল যে ওর মা ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিল।' সেইসঙ্গে ২০২৪ সালেও রাহুলকে আমেঠি থেকে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন স্মৃতি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরেছিলেন রাহুল গান্ধী।