অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারকে সমর্থন করার কথা বলেছেন অসমের দুই কংগ্রেস নেতা। এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই অসমে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই কথা শোনার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরাসরি আক্রমণ করে বসেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। সদ্য অসম থেকে ঘুরে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। তারপর এমন ঘটনা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জোর ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। এই দুই শীর্ষ কংগ্রেস নেতার উপর দলের কোপ পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এর আগে দু’জন কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দিকী আহমেদ এবং শশীকান্ত দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল একই অভিযোগে।
এবার দল না ছেড়ে অসমের কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি এবং অপরজন প্রাক্তন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারকে সমর্থন করবেন বলেছেন। অসমের এই দুই কংগ্রেস বিধায়ক তথা নেতা কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং বসন্ত দাস এখানের বিজেপি সরকারকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ঘটনাকেই এখন সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেসে ভাঙনের বার্তা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একসময় হিমন্ত কংগ্রেসেই ছিলেন। তবে এখন কংগ্রেসের দুই নেতার সমর্থন পাওয়ার কথাকে হাতিয়ার করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।
এই সমর্থনের কারণ হল—দুই কংগ্রেস বিধায়ক তথা নেতার বিধানসভা এলাকা করিমগঞ্জ উত্তর এবং মঙ্গলদই–তে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আর তাই বুধবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘রাহুল গান্ধী কংগ্রেস বিধায়কদের তাঁর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় নিয়ে অসম ছাড়ার আগে রাজ্য বিধানসভাকে অস্তিত্বহীন করবেন বলেছিলেন। তার কয়েকদিন পরেই এই ঘটনা ঘটল। এটি রাহুলকে উপহার!’ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আরও কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হিমন্ত মন্ত্রিসভার সদস্য পীযূষ হজারিকা দাবি করেছেন, কমলাক্ষ, বসন্ত–সহ মোট চারজন বিধায়কের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আছে।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচারে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস, পাড়ায় ছুটবে টোটো–অটো
তবে কংগ্রেস বিধায়ক তথা নেতা কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেছেন, ‘আমি অসম সরকারকে সমর্থন করলেও কংগ্রেস কর্মী হিসাবেই থাকতে চাই।’ জানুয়ারি মাসে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ অসমে ঢোকার পর থেকেই বারবার সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বাধার মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ। নগাঁওয়ের বটদ্রবায় শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে রাহুল গান্ধীকে ঢুকতে দেয়নি হিমন্তের পুলিশ। যোগ দিতে দেয়নি গুয়াহাটিতে পূর্বঘোষিত সাংবাদিক বৈঠকেও বলে অভিযোগ। এমনকী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে জনতাকে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। আর এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নতুন দাবি, ‘বিধানসভায় ভাঙচুর চালানোর জন্য কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাহুল।’