করোনার গ্রাফ নামছে। এব্যাপারে শাসকদলের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও একমত। এমনটাই দাবি তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের। আসলে দ্রুত উপনির্বাচন করার দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তৃণমূলের নেত্রী মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, ‘সংবিধান অনুসারে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করানোর কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের সময় দৈনিক সংক্রমণ ১৭ হাজারের মধ্যে ছিল। সেখানে এখন ৮৩০য়ের কাছাকাছি সংক্রমণ রয়েছে। সেব্যাপারেও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় যেখানে নির্বাচন হবে তার তথ্য আমাদের কাছে আছে। কমিশনের কাছেও এব্যাপারে আপডেট রয়েছে।’
‘ওরাও জানিয়েছেন সংক্রমণ অনেক কম হয়ে গিয়েছে। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, নির্বাচন আটকানো আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ নির্বাচন করানো। সব জায়গায় একসঙ্গে নির্বাচন হবে নাকি আলাদা দফায় নির্বাচন হবে সেটাও বলা হয়েছিল। তবে এটাও তাঁরা ভাবছেন যে একদফায় নির্বাচন না করে দু দফায় নির্বাচন করা যেতে পারে। মিটিং খুব ভালো হয়েছে। সকলেই একমত রয়েছেন যে নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব সময়েই করানো হবে।’
অন্যদিকে বিজেপিকেও একহাত নেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন,' বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ওদের নেতাদের মাথার ঠিক নেই। ওদের কথার যে যুক্তি আছে এমনটা নয়। আমরা তথ্য দিয়ে জানিয়েছি সাতটি জায়গায় কোভিড কমেছে। কমিশনের কাছেও মাসিক রিপোর্ট রয়েছে। বিজেপি জানে উপনির্বাচন হলে হারবে। সেকারণে তারা হারের বোঝা আর নিতে চাইছে না। নির্বাচন এড়িয়ে যেতে চাইছে বিজেপি।'