লোকসভা ভোটের আগে এবার ‘কুইড প্রো কিউয়ো’ ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। অভিযোগ বিজেপির দিকে। ‘কুইড প্রো কিউয়ো’ বলতে, কোনও কিছুর বিনিময়ে নিয়মের বাইরে বেরিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। অভিযোগ, বহু সংস্থায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অভিযানের পরই দেশের ৩০ টি সংস্থা বিজেপিকে বিপুল অঙ্কের অনুদান দিয়েছে। সদ্য বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবরে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত কিছু খবর। প্রকৃত ঘটনা দানতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর কাছে শ্বেতপত্র দাবি করে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদ কেসি বেণুগোপাল দুইটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের কথা কুলে ধরেন ‘দ্য নিউজ লন্ড্রি’ ও ‘দ্য নিউজ মিনিট’এর পেশ কার প্রতিবেদন তুলে ধরে কংগ্রেস নেতার দাবি, প্রকাশিত খবর হিমাশৈলের চূড়ামাত্র। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আয়কর দফতর, ইডি, সিবিআইয়ের হানার পর দেশের বহু তাবড় সংস্থা বিজেপিকে বিপুল অঙ্কের অনুদান দিয়েছে। অভিযোগের সুর চড়া করে বেণুগোপাল বলেন,' ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে ও ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে অন্তত ৩০ টি সংস্থা বিজেপিকে ৩৩৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে, এরা সেই সময় কেন্দ্রীয় সংস্থার দ্বারা অভিযানের মুখে পড়েছিল।' বিষয়টি আরও ভেঙে বলতে গিয়ে বেণুগোপালের অভিযোগ,' এদের মধ্যে ২৩ টি সংস্থা মোট ১৮৭.৫৮ কোটি টাকা দিয়েছে পার্টিকে সেই সময়। যারা এর আগে বিজেপিকে ২০১৪ থেকে সেই সময় পর্যন্ত কখনওই অনুদান দেয়নি।' কংগ্রেসের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ‘অপব্যবহার’ করে বিজেপি এই অনুদান নাকি নিয়েছে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস অভিযোগ তুলছে সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগের দিকে তুলছে আঙুল।
কংগ্রেসের প্রশ্ন, যে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ইডি, সহ নানান কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত চলছে, তারা ‘কেন বিজেপিকে অনুদান দিচ্ছে, ইডির অভিযানের পর?’ কংগ্রেসের দাবি, এই নিয়ে শ্বেতপত্র নিয়ে আসুক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কংগ্রেস গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি করেছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, ‘আপনার যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে আপনি কি বিজেপির কোষাগার ভরাট করে এমন ঘটনার ‘ঘটনাক্রমের’-এর ওপর পয়েন্ট-বাই-পয়েন্ট খণ্ডন উপস্থাপন করতে ইচ্ছুক? বেণুগোপালের প্রশ্ন, ‘আপনি কি বিজেপির হয়ে অনুদান লুট করার জন্য এই সন্দেহজনক ডিলগুলিতে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের জন্য নিজেকে উপস্থাপন করতে ইচ্ছুক?’ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, তাঁরা এই বিষয়ে ইডি ও সিবিআইকেও প্রশ্ন করতে চলেছেন।
'