বছরের শেষ পর্বে রয়েছে হাইভোল্টেজ গুজরাত বিধানসভার লড়াই। বছর ঘুরলেই রয়েছে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এরপর ২০২৪ লোকসভা। তার আগে এদিন রাজধানী দিল্লিতে এআইসিসির বৈঠকে কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশে একাধিক বার্তা দেন অন্তবর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। জানান দেন, আগামী ১৩ থেকে ১৫ মে রাজস্থানের উদয়পুরে রয়েছে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন। সেই ব্রেন স্টর্মিং সভার আগে সোনিয়া এদিন আত্মসমালোচনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী বলেন, ' আপনাদের হয়তো মনে থাকবে যে আমাদের শেষ বৈঠকের শেষে, আমি ঘোষণা করেছিলাম যে আমরা শীঘ্রই একটি চিন্তন শিবিরের আয়োজন করব। তাই আমরা ১৩, ১৪ এবং ১৫ মে উদয়পুরে বৈঠক করছি। আমাদের প্রায় ৪০০ সহকর্মী অংশগ্রহণ করবেন।' সেই শিবিরে যোগদানকারীদের অংশগ্রহণ যে ভারসাম্যযুক্ত হবে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন সনিয়া গান্ধী। এদিন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির উদ্বোধনী সভায় এই বক্তব্য পেশ করেন সনিয়া গান্ধী। এই শিবিরের আয়োজন নিয়ে সনিয়া বলেন, 'আত্ম সমালোচনা অবশ্যই আমাদের পার্টি ফোরামে দরকার।' তবে তা কোনওভাবেই আত্মবিশ্বাসকে নুইয়ে দিয়ে খারাপ মন নিয়ে করা উচিত নয়। এভাবেই এদিন দলের সভানেত্রী হিসাবে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেন সোনিয়া। 'শতকের সবচেয়ে বড় প্রতারণা'- ২০২০ মে থেকে বন্ধ গ্যাস ভর্তুকি! সরব আইস্যাক থমাস
এদিন সনিয়া গান্ধী জানান, ছয়টি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির সংগঠিত হবে। সেখানে রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ন্যায়, কৃষক যুব সমাজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হবে। এই চিন্তন শিবিরকে উদয়পুর নবসংকল্প শিবির বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে । উল্লেখ্য, কংগ্রেস যতবারই চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছে, তারমধ্যে ২০০৩ সালের সিমলা চিন্তন শিবির সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে। সেবছর অটল সরকারকে সরিয়ে মসনদ দখল করেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ। সাম্প্রতিককালে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়াতে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে পার্টি। আপাতত ২০২৪ কে নজরে রেখে আয়োজিত হচ্ছে এই চিন্তন শিবির।