শেষ পর্যন্ত হয়ত কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য। এই আবহে কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে মুখোমুখি হতে পারেন অশোক গেহলট এবং শশী থারুর। শশী থারুর যে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, সেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এরই মাঝে গতকাল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন শশী থারুর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তিরুবনন্তপুরমের সাংসদকে কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ‘অনুমতি’ দেন সোনিয়া গান্ধী। সোমবার নয়াদিল্লিতে সোনিয়া গান্ধির বাসভবনে যান শশী থারুর। সেখানেই তিনি বৈঠক করেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর সঙ্গে। সেখানেই এই বিষয়টি ঠিক হয় বলে খবর। যদিও এই নিয়ে কংগ্রেসের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে এরই মাঝে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে অশোক গেহলটের নাম। যদিও অশোকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তিনি রাহুল গান্ধীকে সভাপতি হওয়ার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। সোমবার গুজরাট, তামিলনাড়ু-সহ সাতটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি প্রস্তাবনা পাশ করে রাহুল গান্ধীকেই দলের সভাপতি করার দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের শেষে কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী৷ তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে হারের মুখ দেখে কংগ্রেস৷ এরপরই হারের দায় স্বীকার করে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল৷ তার পর থেকে দলের দায়িত্ব নিতে নারাজ রাহুল। দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী। বিগত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের সভাপতি পদে কোও গান্ধীই থেকেছেন। এই আবহে শশী থারুর বা অশোক গেহলটের মধ্যে কেউ একজন এই পদে বসলে তা দলের জন্য এক ‘বদল’ হবে। এদিকে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত অশোক গেহলট। অপরদিকে শশী থারুর ‘বিদ্রোহী’ জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য।