উত্তরসূরি সংক্রান্ত সংকট না মেটা পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেশ করবেন না রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আজ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আজই কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেশ করার কথা ছিল গেহলটের। যদিও অন্য এক কারণে একদিনের জন্য এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে এরই মাঝে রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সরকার পড়ে যাওয়ার জোগাড়। সচিন পাইলটকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ অশোক গেহলট। এই আবহে তাঁর অনুগামীরা বিধায়কপদ ত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
এদিকে এরই মাঝে আজ কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের প্রধান মধুসূদন মিস্ত্রি ডাক্তারের কাছে যান। এই কারণেই নাকি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। তবে সূত্রের খবর, আজ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা না হলেও অশোক গেহলট আজ মনোনয়ন পেশ করতেন না।
এদিকে ইতিমধ্যেই গতকাল স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে গেহলট অনুগত ৮২ জন বিধায়ক নিজেদের পদত্যাগপত্র দেন। তবে তা এখনও গ্রহণ করা হয়নি। এরই মাঝে গেহলট শিবিরের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে একটি ‘শর্ত’ আরোপ করলেন বিধায়করা। তাঁদের দাবি, ১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণার পরই যেন অশোক গেহলটের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হয়। তবে দিল্লিতে দলের হাইকমান্ড এই শর্ত মানতে নারাজ।
দিল্লিতে দলীয় হাইকমান্ডকে গেহলটের স্পষ্ট বার্তা, ‘বিধায়করা রেগে, আমার এখানে কিছু করার নেই।’ সূত্রের খবর, গতকাল রাতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গের সঙ্গে ফোনে কথা হয় গেহলটের। সেই সময় নাকি গেহলট জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। বিধায়করা রেগে আছেন। এদিকে বিধায়কদের দাবি, অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন গেহলট অনুগামীরা। তাঁদের বক্তব্য সংকটের সময় (সচিন পাইলটের বিদ্রোহ) যে ১০২ জন বিধায়ক দলের পাশে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে হবে।