আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে আজকে সর্বদল বৈঠকে ৩১টি দল য়োগ দেয়। মনে করা হযেছিল আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি আজকের বৈঠকে ছিলেন না। এই নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না বিরোধীরা। আবার আজকের বৈঠকে কৃষি আইনের বিষয়টি তোলেন বিরোধীরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কংগ্রেস সাংসদ তথা রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে। আসন্ন অধিবেশনে বিরোধীরা যে বিষযগুলি নিয়ে ঝড় তুলতে চলেছেন, তা স্পষ্ট করে দেন আজ তিনি।
সর্বদলীয় বৈঠকে শেষে কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ বলেন, ‘আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকদের সমস্যা এবং কোভিড-১৯ সহ অনেকগুলি বিষয় উত্থাপিত হয়েছিল। সমস্ত দল দাবি করেছিল যে এমএসপি গ্যারান্টিযুক্ত একটি আইন করা উচিত।’
এদিকে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল যে এই সর্বদল বৈঠকে য়োগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে তিনি এই বৈঠকে য়োগ দেননি। মোদীর অনুপস্থিতি নিযে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না বিরোধীরা। এই বিষযে মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন,‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী আজ বৈঠকে যোগ দেবেন। কিন্তু কোনও কারণে তিনি বৈঠকে যোগ দেননি...’ এদিকে কৃষি আইন নিয়ে কংগ্রেস রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি কৃষকদের বোঝাতে পারেননি। এর অর্থ হল এই আইনগুলি ভবিষ্যতে অন্য কোনও আকারে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।’
এদিকে কোভিড নিযেও বৈঠকে সরব হন বিরোধীরা। মল্লিকার্জুন বলেন,‘আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছি যে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাস্তায নেমে যেই কৃষকরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে দাবি তুলেছি আমরা।’
এদিকে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রল্হাদ যোশী আজকের বৈঠকে বলেন, ‘আজ সর্বদলীয় বৈঠকে ৩১টি দল অংশ নেয়। গঠনমূলক আলোচনায় বিভিন্ন দলের ৪২ জন নেতা অংশ নেন। সংসদে কোনও বিঘ্ন না ঘটলে চেয়ারম্যান এবং স্পিকারের দ্বারা অনুমোদিত যে কোনও বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত সরকার।’