নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নির্ণয় করতে এবার বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। পাশাপাশি, সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ভারত, জানাল আইসিএমআর। এদিন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩৭। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের (৪১)। ভারতে করোনায় তৃতীয় মৃত্যুর খবরও এসেছে মুম্বই থেকে।
এ দিন আইসিএম আর ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, এতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক পরীক্ষা শুধুমাত্র সরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রেই হত। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত হারে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে তা নির্ণয়ের জন্য এবার বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রের উপরেও নির্ভর করতে চলেছে প্রশাসন। এই বিষয়ে সমস্ত বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির প্রতি বিনামূল্যে Covid-19 নির্ণয় পরীক্ষা করার আর্জি জানান ভার্গব।
জানা গিয়েছে, আপাতত এই দায়িত্ব পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকাভুক্ত ৬০টি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি।
বর্তমানে Covid-19 সংক্রান্ত পরীক্ষা শুধুমাত্র সরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রেই হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬০টি বেসরকারী পরীক্ষাকেন্দ্রের সাহায্য নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (আইসিএমআর) ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব।
আইসিএমআর-এর ডিজি জানিয়েছেন, এনএবিএল তালিকাভুক্ত বেসরকারী পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কনোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষা করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছে, এই মুহূর্তে Covid-19 সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে ভারতে। এই পর্যায়ে রোগ ছড়িয়ে পড়ার হার প্রবল হারে বাড়ে বলে জানা গিয়েছে। এই কারণে বর্তমানে সংক্রমণ এড়াতে চূড়ান্ত সতর্কতা পালন করা জরুরি বলেও এ দিন মন্তব্য করেন ভার্গব।
আইসিএমআর ডিজি ভার্গব আরও জানিয়েছেন, এর আগে ১০ লাখ নমুনা পরীক্ষার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও ১০ লাখ নমুনা পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভার্গব বলেন, ‘আমরা আইসিএমআর-এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং সিএসআইআর, ডিআরডিও, ডিবিটি-এর পাশাপাশি দেশের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষেই এমন ৪৯টি পরীক্ষেন্দ্র চালু হয়ে যাবে।’