অনলাইনে লুডো খেলা নিয়ে এবার মহারাষ্ট্র সরকারের থেকে জবাব তলব করল বম্বে হাই কোর্ট।অনলাইনে লুডো খেলা আসলে জুয়া ছাড়া আর কিছুই নয়, এই বলে একটি মামলা দায়ের করা হয় বম্বে হাই কোর্টে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে জবাব তলব করল আদালত।
মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সদস্য কেশব রমেশ মুলে অনলাইনে লুডো খেলার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর মতে, অনলাইনে যে লুডো খেলা হয়, সেটা জুয়া ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁর মতে, লুডো খেলতে হলে বুদ্ধি প্রয়োগের কোনও দরকার নেই।এটা হচ্ছে একটা সুযোগের খেলা। একটা তিন বছরের শিশুও এই খেলা জিতে যেতে পারে বলে ছোটো করে দেখলে চলবে না। এদিন বিচারপতি এসএস সিন্ধে ও বিচারপতি অজয় আহুজার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি শোনেন। এরপর এই বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের মতামত জানতে চান।মহারাষ্ট্র সরকারকে এই বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে হবে।
এর আগে পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করতে যান মুলে। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। এরপর অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ফৌজদারী বিধির ১৫৬(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারায় ও মহারাষ্ট্র প্রিভেনশান অফ গ্যাম্বলিং অ্যাক্টেও মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটও মামলাটি খারিজ করে দেন। আদালতের তরফে জানানো হয়, অনলাইনে লুডো খেলা মহারাষ্ট্র প্রিভেনশান অফ গ্যাম্বলিং অ্যাক্টকে লঙ্ঘন করছে না। এরপরে বম্বে হাই কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুলে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে এই লুডো খেলা খেলতে হলে যে কোনও ব্যক্তিকে একটা এন্ট্রি ফি দিতে হয়। ওই এন্ট্রি ফি দিলেই মোবাইল অ্যাপলিকেশন চালু করতে পারবেন ব্যক্তি।মামলাকারীর বক্তব্য, খেলার এই পদ্ধতিই আসলে জুয়া খেলার প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এছাড়া যে ব্যক্তি এই খেলায় জিতছেন, সেই পুরষ্কারের টাকা কোনও ফিকশনাল উইনিং নয়।সেটি রিয়েল টাইম কারেন্সি হিসাবেই গণ্য হয়। পাশাপাশি এই খেলার ভিডিও যেভাবে ইউ টিউবের মাধ্যমে প্রোমোশন করা হচ্ছে, তারও বিরোধিতা করেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার ওই সদস্য। লুডো সুপ্রিম অ্যাপের বিরুদ্ধে এফআইআর করারও দাবি তুলেছেন তিনি।