বুধবার মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট আসতে জানা গেল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন দূরদর্শনের এক সাংবাদিকের। লাইটিং অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন বছর ৫৩-র ওই ব্যক্তি।
দূরদর্শনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ওই সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক কর্মীকে আইসোলেশনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দূরদর্শন। অনেকের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বর্তমান বিল্ডিংটি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। আপাতত দু'দিনের জন্য প্রসার ভারতীর অফিস খেলগাঁতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দূরদর্শনের দুই আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তবে সেই সাংবাদিকের পরিচয় প্রকাশ করেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, 'আমাদের ক্যামেরা টিমের একজন সদস্য মারা গিয়েছেন। ঘটনাটি বুধবার হয়েছিল। তবে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর বৃহস্পতিবার আমরা জানতে পারি। আমরা দূরদর্শনের যাবতীয় কাজ অন্য একটি বিল্ডিংয়ে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।'
তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে,গত সপ্তাহেও খবর সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন ওই সাংবাদিক। কমপক্ষে দু'জন উচ্চপদস্থ আমলার সাক্ষাৎকারেও হাজির ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, একজন রেল এবং অপরজন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের আমলা।