করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না হওয়ার জন্য প্রসব-সহ কোনও জরুরি চিকিৎসার (যেমন - সার্জারি) ক্ষেত্রে বিলম্ব করা যাবে না। বরং সেই চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যেতে পারে। নয়া নির্দেশিকা এই নির্দেশ দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। যা বড়সড় স্বস্তির খবর বয়ে নিয়ে আনল দেশের অসংখ্য রোগী ও তাঁদের পরিবাবের জন্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, 'এরকম খবর পাওয়া যাচ্ছিল যে কয়েকটি হাসপাতাল করোনার পরীক্ষা করার পরই রোগীদের ভরতি করছিল। বিশেষত কেমো (কেমোথেরাপি), ডায়ালিসিসের (ক্ষেত্রে), এমনকী সার্জারির ক্ষেত্রেও। বিষয়টি আইসিএমআরের তরফে স্পষ্ট করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। '
তবে হাসপাতালে ভরতি যে রোগীদের ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতার (আইএলআই) উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে আইসিএরমআর। কোন ক্ষেত্রে আইএলআই বলা হবে, সেই ব্যাখ্যাও নয়া নির্দেশিকায় দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের সঙ্গে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি জ্বর ও কাশি’ থাকলে আইএলআই হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
পঞ্চম সংশোধিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় যাঁরা সমানে থেকে কাজ করছেন এবং সংক্রমণ রোখার কাজে যুক্ত, তাঁদেরও নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে থেকেই করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। ওই জনস্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘ওঁরা একইরকমভাবে বিপদের মুখে। কারণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা, স্ক্রিনিং-সহ ইত্যাদি কাজের অংশ হিসেবে করোনা সন্দেহভাজন বা করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন। রোগের বাহক হিসেবে তাঁরা ঘুরে বেড়ান, সেটা আপনি চাইবেন না।’
পাশাপাশি বিদেশ ফেরত ও পরিযায়ী শ্রমিক-সহ আইএলআই উপসর্গ থাকা সকলের করোনা পরীক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর। উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাতদিনের মধ্যে সেই পরীক্ষা করতে হবে। একইভাবে উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রেও কড়া মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যদি ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে কোনও ব্যক্তি সংস্পর্শে আসেন, তবেই তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হবে। করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেই পরীক্ষা করতে হবে। আগে অবশ্য তা পাঁচ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে করতে হত।