আপাতত ভারতে তিনটি করোনাভাইরাসের 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'-এর ট্রায়াল চলছে। কিন্তু সেই তালিকায় নেই কোনও ইন্ট্রানেজাল টিকা (নাকের মাধ্যমে যে টিকা দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে নাকে টিকা স্প্রে করে দেওয়া হয়।এমনিতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়)। তবে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, একটি ইন্ট্রানেজাল 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট' তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)।
'সানডে সংবাদ'-এর ষষ্ঠ সংস্করণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ফ্লুমিস্ট নেজাল স্প্রে হল এক ধরনের টিকা। যা ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নাকে স্প্রে করা হয়। এটা কোভিড-১৯ টিকা নয়। বর্তমানে ভারতে এমন কোনও ইন্ট্রানেজাল টিকা নেই। যার ট্রায়াল চলছে। তবে কোডজেনিক্স সিডিএক্স ০০৫-এর (Codagenix CDX 005) উৎপাদন শুরু করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট (অফ ইন্ডিয়া)। যা সার্স-কোভ-২-এর (Sars-Cov-2) জন্য একটি ইন্ট্রানেজাল লাইভ অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'
কোডজেনিক্স সিডিএক্স ০০৫-এর অগ্রগতির বিষয়েও জানান হর্ষবর্ধন। তিনি বলেন, 'পশুদের উপর প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে এবং ২০২০ সালের শেষের মধ্যে ব্রিটেনে কোডজেনিক্সের প্রথম পর্যায়ের মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরে ভারতেও সেই ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের ক্নিনিকাল ট্রায়াল চালানোর পরিকল্পনা করছে সেরাম।'
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত বায়োটেক। সেই চুক্তির আওতায় করোনার ইন্ট্রানেজাল ভ্যাকসিন তৈরি এবং তা বাজারজাত করার জন্য ট্রায়াল চালাবে ভারতীয় সংস্থাটি। তিনি বলেন, 'আমেরিকার সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা এবং সেই সংক্রান্ত চিকিৎসা শাখায় প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল চলবে। অনুমোদন পেলে ভারতেও পরবর্তী পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালাবে ভারত বায়োটেক।'