করোনাভাইরাসের টিকা আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যেই চলে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করছে কেন্দ্র। কিন্তু আগামী এক বছরে প্রত্যেক ভারতীয়কে সেই টিকা প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ থাকবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সিইও আদর পুনাওয়ালা।
শনিবার দুপুরে একটি টুইটবার্তায় পুনাওয়ালা বলেন, 'দ্রুত প্রশ্ন; আগামী এক বছরে ভারত সরকারের কাছে কি ৮০,০০০ কোটি টাকা থাকবে? কারণ টিকা কিনতে এবং ভারতের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই পরিমাণ অর্থ লাগবে। এটাই আগামিদিনের উদ্বেগজনক চ্যালেঞ্জ। যা আমাদের সামলাতে হবে।' সেই টুইটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কেও ট্যাগ করেছেন তিনি।
যদিও কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার জানানো হয়েছে, টিকা উদ্ভাবনের পরে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেইমতো বিভিন্ন পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। সপ্তাহদুয়েক আগেই টিকার প্রাপ্যতা সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন, একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। যা পুরো প্রক্রিয়ার দেখভাল করছে। ট্রায়ালের ফলাফল মূল্যায়নের সময় উৎপাদন সংস্থাগুলিকে বৃহদাকারে টিকা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হবে। যাতে একটুও সময় নষ্ট না হয়। তবে সেরাম কর্তা মন্তব্যের কিছুটা হলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
করোনাভাইরাস টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এদিকে, কয়েকদিন স্থগিত থাকার পর চলতি সপ্তাহেই আবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। মুম্বইয়ের কিং এডওয়ার্ড এবং বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালে দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে। সেরাম যে সম্ভাব্য টিকা উৎপাদন করবে। একইসঙ্গে কোডাজেনিক্সের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ সিডিএক্স-০০৫-এর (CDX-005) উৎপাদন শুরু করেছে সেরাম।