দেশের সব নাগরিককে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি লোকসভায় একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভারতে সাড়ে তিন থেকে চার কোটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ০.০০০৪৩২ শতাংশ মানুষের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।সরকার প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা, পরে প্রবীণ নাগরিক ও যাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৫৯-এর (কো-মর্বিডিটি আছে) মধ্যে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, শুধু ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলেচনার ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দানের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। এমনটা নয় যে দেশের প্রতিটি নাগরিককেই ভ্যাকসিন দিতে হবে।বিশেষজ্ঞরা যেমনভাবে গাইড করছেন, তাঁদের পরামর্শ মেনেই জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।করোনাভাইরাস মানব শরীরে গিয়ে কীরকম আচরণ করছে, সবটাই এখন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে রয়েছে।