পুরভোট ঘিরে চরম উত্তেজনার আবহায়া তৈরি হয়েছে ত্রিপুরায়। এই পরিস্থিতিতিতে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিআই(এম)। এই বিষয়ে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয় ত্রিপুরা সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে।
প্রেস বিবৃতিতে বাম দলের সম্পাদক রাখাল মজুমদার লেখেন, 'রাজ্যে পুরসংস্থাগুলির নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তত বেশি শাসক বিজেপি দলের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস বাড়ছে। আজ পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁরে গ্রেফতার করে। থানার ভইতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এই বর্বোরচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ধিক্কার জানাচ্ছে।'
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুর-ভোট। এবার সেখানে বিজেপির অন্যতম প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে বাংলা থেকে সায়নী ঘোষ-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী সেখানে প্রচারে গিয়েছেন। সোমবার ত্রিপুরায় প্রচার কর্মসূচি ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কিন্তু তার আগেরদিনই সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি ও পূর্ব আগরতলা মহিলা থানার সামনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় পুরো পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, রবিবার সায়নী ঘোষকে পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় ডেকে পাঠায় ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করবে পুলিশ। রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, সায়নীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার কর্মসূচিকে বানচাল করতেই সায়নীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।